ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

তেঁতুলতলা মাঠে থানার ভবন হবে না, খেলার জন্যই থাকছে

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্যই রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মাঠ নিয়ে গত কয়েক দিনের টানাপড়েন আর নানামুখী আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তিনি বলেন, “ওই এলাকায় খেলার কোনো মাঠ নেই, শিশুদের খেলা বা বিনোদনের কোনো জায়গায় নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ দিয়েছেন, এটা পুলিশের জায়গা, পুলিশের থাক। তবে আর যেন কোনো কন্সট্রাকশন কাজ না হয়। মন্ত্রী বলেন, “তেঁতুলতলা মাঠের জায়গাটা পুলিশের, সেটা পুলিশেরই থাকবে। “তবে সেটা এতদিন যেভাবে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল, সেভাবে মাঠ হিসেবে ব্যবহার হবে। মাঠটি যেভাবে ছিল, সেভাবেই থাকবে। এতদিন যে কাজে ‘ইউজ’ হচ্ছিল সে কাজে ব্যবহার হবে। যেহেতু মাঠটা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, এটি পুলিশেরই থাকবে।” সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। থানা ভবন কোথায় নির্মাণ হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “এটা পরে দেখা যাবে।” বুধবার দুপুরে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান খুশি কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও সঙ্গীতা ইমাম।
পরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “যেটাকে তেঁতুলতলা মাঠ বলছেন, সেটা কখনও মাঠ ছিল না। এটা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল।” “আমরা শুনেছি। লোকালয়ের পাশে খালি জায়গা এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতো। একটু আলাপচারিচার জন্য এই জায়গাটি ছিলো। এখন সবাই এই জায়গা নিয়ে নানানভাবে কথাবার্তা বলছে।” ঢাকার অধিকাংশ থানা ভাড়া বাড়িতে হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জানিয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন, “ঢাকা শহরে যে নতুন নতুন থানা ভবন হচ্ছে, বেশিরভাগই ভাড়া বাড়িতে। ভাড়া বাড়িতে থাকার কারণে আমাদের পুলিশ ফোর্স নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেজন্য এগুলোকে স্থায়ী স্থানে নেওয়ার জন্য আমরা নিয়ম অনুযায়ী ডিসির (জেলা প্রশাসক) কাছে ঢাকা শহরের কোন জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বলেছিলাম। “ঢাকার কলাবাগানের কোনো জায়গায় দেওয়া যায় কিনা বলেছিলাম। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে এই জায়গাটি বরাদ্দ দেন। সেই জায়গাটির যে মূল্য তা ঢাকা মহানগর পুলিশ জমা দেওয়ার পর ডিসি জায়গাটি হস্তান্তর করে দিয়ে যান। এটা ছিল মূলকথা।” কলাবাগান আবাসিক এলাকায় (পান্থপথের দক্ষিণ পাশে) তেঁতুলতলায় শিশু-কিশোররা যেমন খেলত, তেমনি নানা সামাজিক অনুষ্ঠানও চলে আসছিল। স্থানীয়রা একে তেঁতুল তলা মাঠ হিসেবেই চেনে। মাঠটি পুলিশ কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিলে তার প্রতিবাদে নামে ওই এলাকার বাসিন্দারা, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উদীচীর কর্মী সৈয়দা রতœা। গত রোববার পুলিশ ওই মাঠে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে রতœা তার তরুণ ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়ে ফেইসবুক লাইভ শুরু করলে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনলাইনে-অফলাইনে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তেঁতুলতলা মাঠে থানার ভবন হবে না, খেলার জন্যই থাকছে

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্যই রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মাঠ নিয়ে গত কয়েক দিনের টানাপড়েন আর নানামুখী আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তিনি বলেন, “ওই এলাকায় খেলার কোনো মাঠ নেই, শিশুদের খেলা বা বিনোদনের কোনো জায়গায় নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ দিয়েছেন, এটা পুলিশের জায়গা, পুলিশের থাক। তবে আর যেন কোনো কন্সট্রাকশন কাজ না হয়। মন্ত্রী বলেন, “তেঁতুলতলা মাঠের জায়গাটা পুলিশের, সেটা পুলিশেরই থাকবে। “তবে সেটা এতদিন যেভাবে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল, সেভাবে মাঠ হিসেবে ব্যবহার হবে। মাঠটি যেভাবে ছিল, সেভাবেই থাকবে। এতদিন যে কাজে ‘ইউজ’ হচ্ছিল সে কাজে ব্যবহার হবে। যেহেতু মাঠটা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে, এটি পুলিশেরই থাকবে।” সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হচ্ছে না বলে জানান তিনি। থানা ভবন কোথায় নির্মাণ হবে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “এটা পরে দেখা যাবে।” বুধবার দুপুরে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান খুশি কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও সঙ্গীতা ইমাম।
পরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “যেটাকে তেঁতুলতলা মাঠ বলছেন, সেটা কখনও মাঠ ছিল না। এটা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল।” “আমরা শুনেছি। লোকালয়ের পাশে খালি জায়গা এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতো। একটু আলাপচারিচার জন্য এই জায়গাটি ছিলো। এখন সবাই এই জায়গা নিয়ে নানানভাবে কথাবার্তা বলছে।” ঢাকার অধিকাংশ থানা ভাড়া বাড়িতে হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় জানিয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন, “ঢাকা শহরে যে নতুন নতুন থানা ভবন হচ্ছে, বেশিরভাগই ভাড়া বাড়িতে। ভাড়া বাড়িতে থাকার কারণে আমাদের পুলিশ ফোর্স নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেজন্য এগুলোকে স্থায়ী স্থানে নেওয়ার জন্য আমরা নিয়ম অনুযায়ী ডিসির (জেলা প্রশাসক) কাছে ঢাকা শহরের কোন জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বলেছিলাম। “ঢাকার কলাবাগানের কোনো জায়গায় দেওয়া যায় কিনা বলেছিলাম। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে এই জায়গাটি বরাদ্দ দেন। সেই জায়গাটির যে মূল্য তা ঢাকা মহানগর পুলিশ জমা দেওয়ার পর ডিসি জায়গাটি হস্তান্তর করে দিয়ে যান। এটা ছিল মূলকথা।” কলাবাগান আবাসিক এলাকায় (পান্থপথের দক্ষিণ পাশে) তেঁতুলতলায় শিশু-কিশোররা যেমন খেলত, তেমনি নানা সামাজিক অনুষ্ঠানও চলে আসছিল। স্থানীয়রা একে তেঁতুল তলা মাঠ হিসেবেই চেনে। মাঠটি পুলিশ কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিলে তার প্রতিবাদে নামে ওই এলাকার বাসিন্দারা, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উদীচীর কর্মী সৈয়দা রতœা। গত রোববার পুলিশ ওই মাঠে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে রতœা তার তরুণ ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়ে ফেইসবুক লাইভ শুরু করলে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনলাইনে-অফলাইনে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।