ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন দ্রুতই, প্রতীক সোনালি আঁশ

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন দ্রুতই দেওয়া হবে। দলটির প্রতীক হবে সোনালি আঁশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। অতএব দলটি নিবন্ধন পাবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। একই নামে দুটি দলের নিবন্ধন হয়ে যাচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাসদের তো একই নামে আছে। এটাতো আমাদের কিছু করার নেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ তো। তাদের মার্কা (প্রতীক) কী হবে, তাও তো আদালত বলে দিয়েছেন। সোনালি আঁশ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। দেরি করার তো সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেওয়ার পর তো আর মাঠে খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, আদালতের নির্দেশ আমরা পালন করতে বাধ্য। আদালত নিশ্চয়ই সেগুলো প্রমাণ পেয়েছেন। নতুন দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। পাঁচটি দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। দুটি দল আবেদন (উইথড্র করেছে) তুলে নিয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক যাচাইয়ে আবদনপত্রে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অনেক দল উল্লেখ করেছে, তা জমা দেয়নি। আমরা সেগুলো দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা দিয়েছে। আগামী রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) যাচাই কমিটি ফের সেগুলো নিয়ে বিকেল ৩টায় বসবে। এরপর মাঠ পর্যায়ে দলগুলোর কার্যালয়, কমিটি আছে কি-না, এসব খতিয়ে দেখা হবে। এতে তারা অনুত্তীর্ণ হলে নিবন্ধন পাবে না। অর্থাৎ প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। জামায়াতের নেতারা নতুন দল গঠন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, অথবা যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের তো সংবিধান, নীতিমাল এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, হাইপোথেটিক্যাল (অনুমান নির্ভর) কিছুই বলা যাবে না। সবকিছু আমাদের আইনের ভেতরে থেকে বলতে হবে। আমাদের বলতে হবে সংবিধান বিরোধী কিছু থাকলে, আমাদের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিষেধ আছে, সেগুলো যদি থাকে, আদালতের যে পর্যবেক্ষণ আছে, বিশেষ করে জামায়াতের বিষয়ে যে পর্যবেক্ষণগুলো আদালত দিয়েছেন, সেগুলো তো বিবেচনায় নিতে হবে। বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা যদি থাকে, তাহলে তো দেওয়া যাবে না। সংবিধান, আরপিওর শর্ত ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের আলোকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৯টি। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান সাবেক এই ইসি সচিব।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণ বর্তমান সীমানা নিয়েই কাজ করেছেন। যেহেতু ২০১৮ সালে কমিশন শুনানি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই তাদের যদি কোথাও সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই জানতে পারবো। কাজেই যেটা আছে, সেটাই থাকুক। সেটার ওপর আবেদন আহ্বান করলে তখন দেখা যাবে। তাদের যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। এজন্য আমরা কোথাও হাত দিচ্ছি না। যেটা এখন যেভাবে আছে, সেটাই খসড়া হিসেবে প্রকাশ করবো। আমাদের নীতিমালা এবং তাদের আপত্তি দুটোই আমলে নেবো। এরপর শুনানিতে যেটা যৌক্তিক হবে, সেটাই সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাই না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন দ্রুতই, প্রতীক সোনালি আঁশ

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন দ্রুতই দেওয়া হবে। দলটির প্রতীক হবে সোনালি আঁশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। অতএব দলটি নিবন্ধন পাবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। একই নামে দুটি দলের নিবন্ধন হয়ে যাচ্ছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাসদের তো একই নামে আছে। এটাতো আমাদের কিছু করার নেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ তো। তাদের মার্কা (প্রতীক) কী হবে, তাও তো আদালত বলে দিয়েছেন। সোনালি আঁশ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। দেরি করার তো সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেওয়ার পর তো আর মাঠে খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, আদালতের নির্দেশ আমরা পালন করতে বাধ্য। আদালত নিশ্চয়ই সেগুলো প্রমাণ পেয়েছেন। নতুন দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। পাঁচটি দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। দুটি দল আবেদন (উইথড্র করেছে) তুলে নিয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক যাচাইয়ে আবদনপত্রে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অনেক দল উল্লেখ করেছে, তা জমা দেয়নি। আমরা সেগুলো দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা দিয়েছে। আগামী রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) যাচাই কমিটি ফের সেগুলো নিয়ে বিকেল ৩টায় বসবে। এরপর মাঠ পর্যায়ে দলগুলোর কার্যালয়, কমিটি আছে কি-না, এসব খতিয়ে দেখা হবে। এতে তারা অনুত্তীর্ণ হলে নিবন্ধন পাবে না। অর্থাৎ প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। জামায়াতের নেতারা নতুন দল গঠন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, অথবা যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের তো সংবিধান, নীতিমাল এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, হাইপোথেটিক্যাল (অনুমান নির্ভর) কিছুই বলা যাবে না। সবকিছু আমাদের আইনের ভেতরে থেকে বলতে হবে। আমাদের বলতে হবে সংবিধান বিরোধী কিছু থাকলে, আমাদের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিষেধ আছে, সেগুলো যদি থাকে, আদালতের যে পর্যবেক্ষণ আছে, বিশেষ করে জামায়াতের বিষয়ে যে পর্যবেক্ষণগুলো আদালত দিয়েছেন, সেগুলো তো বিবেচনায় নিতে হবে। বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা যদি থাকে, তাহলে তো দেওয়া যাবে না। সংবিধান, আরপিওর শর্ত ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের আলোকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৯টি। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান সাবেক এই ইসি সচিব।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণ বর্তমান সীমানা নিয়েই কাজ করেছেন। যেহেতু ২০১৮ সালে কমিশন শুনানি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই তাদের যদি কোথাও সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই জানতে পারবো। কাজেই যেটা আছে, সেটাই থাকুক। সেটার ওপর আবেদন আহ্বান করলে তখন দেখা যাবে। তাদের যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। এজন্য আমরা কোথাও হাত দিচ্ছি না। যেটা এখন যেভাবে আছে, সেটাই খসড়া হিসেবে প্রকাশ করবো। আমাদের নীতিমালা এবং তাদের আপত্তি দুটোই আমলে নেবো। এরপর শুনানিতে যেটা যৌক্তিক হবে, সেটাই সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাই না।