আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) জানিয়েছে, রোববার পশ্চিমাঞ্চলীয় সিন্দিরগিতে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইস্তাম্বুল এবং পর্যটনকেন্দ্র ইজমিরসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিন্দিরগি থেকে সাংবাদিকদের বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারের পরপরই ৮১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, আরো ২৯ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। ভূমিকম্পে সিন্দিরগি এবং এর আশেপাশের ১৬টি ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে চারটিতে জনবসতি ছিল। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি তিনতলা ভবনও ধসে পড়েছে।
ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে ছয়জন বসবাস করতেন। এর আগে মেয়র সেরকান সাক তুর্কি বেসরকারি চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আরো দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এএফএডি জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রায় ৩১৯ জনকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে।
এএফএডি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে আঘাত হেনেছে। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর ৩.৫ থেকে ৪.৬ মাত্রার প্রায় ২০টি আফটারশক আঘাত হানে।
তুরস্কে বেশ কয়েকটি ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইন রয়েছে যা পূর্বে দেশটিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৩ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং প্রাচীন শহর অ্যান্টিওকের আন্তাকিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে একই অঞ্চলে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যু হয় এবং আরও ৬৯ জন আহত হয়।
এসি/