ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

তীব্র স্রোতে ভাঙনের মুখে বিস্তীর্ণ জনপদ

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে ভাঙনের মুখে পড়েছে মসজিদ-বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। ভাঙনে মান্দারী ইউনিয়নের পশ্চিম মান্দারী গ্রামের মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদ ও চাঁদখালী-আমিন বাজার সড়ক ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। নতুন করে ভাঙনের মুখে রয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল শুক্রবার সকালে মসজিদ ও রাস্তাসহ আশপাশের এলাকা রক্ষায় দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সমাজ সেবক গোলাম সারোওয়ার স্বপন পাটওয়ারী, মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান পাটোয়ারী ও মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, ওয়াপদা খাল মসজিদে থেকে প্রায় ২০০ ফুট দক্ষিণে ছিল। দীর্ঘ চার বছর ধরে খালটি ভেঙে চওড়া হয়ে পড়েছে। এতে মসজিদের শৌচাগার ভেঙে খালের পেটে তলিয়ে গেছে। কোনো মতে বালুভর্তি বস্তা ও বাঁশসহ গাছের খুঁটি দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে মসজিদের দেওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত ওযুখানা ঘেঁষে ভাঙন এসে ঠেকেছে। তবে খালের তীব্র স্রোতের কারণে যে কোনো সময় মসজিদটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অথবা ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন পাটওয়ারী বলেন, দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে আমাদের গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে। এ ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হলে বিস্তীর্ণ জনপদ ভেঙে বিলীন হয়ে যাবে। এ এলাকার মানুষজনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। ওয়াপদা খাল সংলগ্ন বাসিন্দা জেসমিন আক্তার, বিলকিস, আবদুল মান্নানসহ অনেকে জানান, তাদের বসতঘর খালের পাড়ে। খালের ভাঙনের কারণে ফসলি জমি এবং বসতবাড়ির কিছু অংশ খালের বিলীন হয়ে গেছে। এখন বসতবাড়ি নিয়ে হুমকির মুখে রয়েছেন তারা। খালের ভাঙনরোধ না হলে বসতবাড়ি হারাতে হবে তাদের। স্থানীয় মো. মফিজ মিয়া ও সোহাগ বলেন, খালের দক্ষিণ পাড়ে চর পড়েছে। এ কারণে পানি প্রবাহের তীব্র গতি উত্তর অংশে আঘাত করে। ফলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরটি খনন করতে পারলে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতো। ফলে উত্তর অংশে ভাঙন কিছুটা রোধ হবে। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, ওয়াপদা খালে তীব্র স্রোত রয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় খালে জিওব্যাগ ডাম্পিং করেছি। মিয়াজান পাটওয়ারী মসজিদটি রক্ষায় সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তীব্র স্রোতে ভাঙনের মুখে বিস্তীর্ণ জনপদ

আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে ভাঙনের মুখে পড়েছে মসজিদ-বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। ভাঙনে মান্দারী ইউনিয়নের পশ্চিম মান্দারী গ্রামের মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদ ও চাঁদখালী-আমিন বাজার সড়ক ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। নতুন করে ভাঙনের মুখে রয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল শুক্রবার সকালে মসজিদ ও রাস্তাসহ আশপাশের এলাকা রক্ষায় দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সমাজ সেবক গোলাম সারোওয়ার স্বপন পাটওয়ারী, মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান পাটোয়ারী ও মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা জানান, ওয়াপদা খাল মসজিদে থেকে প্রায় ২০০ ফুট দক্ষিণে ছিল। দীর্ঘ চার বছর ধরে খালটি ভেঙে চওড়া হয়ে পড়েছে। এতে মসজিদের শৌচাগার ভেঙে খালের পেটে তলিয়ে গেছে। কোনো মতে বালুভর্তি বস্তা ও বাঁশসহ গাছের খুঁটি দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে মসজিদের দেওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত ওযুখানা ঘেঁষে ভাঙন এসে ঠেকেছে। তবে খালের তীব্র স্রোতের কারণে যে কোনো সময় মসজিদটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অথবা ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন পাটওয়ারী বলেন, দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে আমাদের গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে। এ ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হলে বিস্তীর্ণ জনপদ ভেঙে বিলীন হয়ে যাবে। এ এলাকার মানুষজনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। ওয়াপদা খাল সংলগ্ন বাসিন্দা জেসমিন আক্তার, বিলকিস, আবদুল মান্নানসহ অনেকে জানান, তাদের বসতঘর খালের পাড়ে। খালের ভাঙনের কারণে ফসলি জমি এবং বসতবাড়ির কিছু অংশ খালের বিলীন হয়ে গেছে। এখন বসতবাড়ি নিয়ে হুমকির মুখে রয়েছেন তারা। খালের ভাঙনরোধ না হলে বসতবাড়ি হারাতে হবে তাদের। স্থানীয় মো. মফিজ মিয়া ও সোহাগ বলেন, খালের দক্ষিণ পাড়ে চর পড়েছে। এ কারণে পানি প্রবাহের তীব্র গতি উত্তর অংশে আঘাত করে। ফলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরটি খনন করতে পারলে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতো। ফলে উত্তর অংশে ভাঙন কিছুটা রোধ হবে। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, ওয়াপদা খালে তীব্র স্রোত রয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় খালে জিওব্যাগ ডাম্পিং করেছি। মিয়াজান পাটওয়ারী মসজিদটি রক্ষায় সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ