নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল আজহার ছুটিতে নারায়ণগঞ্জের মোগরাপাড়া থেকে প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানায় এসেছে নয় বছর বয়সী আরহাম। ঘুরে ঘুরে পশু-পাখি দেখে খুব খুশি সে।
বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে আরহাম বিভিন্ন প্রাণি দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানায়। সে বলে, বাঘ দেখেছি, সিংহ দেখেছি, বানর দেখেছি। বাঘ, সিংহ খাচাঁয় ঘুমিয়েছিল। জিরাফ দাঁড়িয়ে খাবার খেয়েছে। খুব মজা লাগেছে।
ঈদের সপ্তম দিন শুক্রবারেও (১৩ জুন) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় দেখা যায়। ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে উপভোগ্য করে তুলতে অনেক মানুষ চিড়িয়াখানায় এসেছেন। তীব্র রোদ, গেটের সামনে হকারদের জটলা পেরিয়ে দর্শনার্থীরা কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউ বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে। গাছের ছায়ায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি ও পাখি দেখছেন তারা।
দর্শনার্থীদের কেউ ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রাণির ছবি, ভিডিও তুলছেন। কেউ আবার স্মৃতি সংরক্ষণ করতে নিজের ভিডিও করছেন। দুপুরের পর থেকেই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। গাছ আর লেকের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা যায় অনেককেই।
হরিণ, কুমির, জিরাফ, বাঘ ও সিংহের খাঁচার সামনে বেশি ভিড় দেখা যায়। চিড়িয়াখানায় এসে সামনাসামনি বিভিন্ন প্রাণি দেখে উচ্ছ্বসিত শিশুরাও।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধায় নানান পদক্ষেপের কথা জানান জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে সুন্দরভাবে ও নিরাপদে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ রয়েছে। দর্শনার্থীরা ১৮ টি ছাউনির নিচে বিশ্রাম নিতে পারছেন। পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে তাদের জন্য।
১২৩ একরের বেশি জায়গা জুড়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার অবস্থান। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরে প্রথমেই বানরের খাঁচা। রেসাস সহ কয়েক প্রজাতির বানর রয়েছে সেখানে। বাম দিকে পাখির খাঁচা। বক, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, পেলিকানসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে সেই খাঁচায়। তার পেছেনে সজারু, ভাল্লুকের খাঁচা। এরপর কিছুটা এগোলেই বাঘ-সিংহের খাঁচা। শিশুদের অনেককেই বাঘ, সিংহের খাঁচার সামনে বাঘ মামা, সিংহ মামা বলে চিৎকার করতে শোনা যায়।
তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, আমি এসেছি মুন্সিগঞ্জ থেকে। এবার ঈদের ছুটি মিলেছে দীর্ঘ দিন। আগেই ছেলে-মেয়ের স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। তাই ছুটি কাটাতে ঢাকায় এসে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছি।