ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
কুড়িগ্রামে সৈয়দা রিজওয়ানা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর দিয়ে যেতে পারবো

  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম তিস্তার তীর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিজওয়ানা হাসান -ছবি সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রাম সফরে তিস্তা নদীতীর রক্ষায় চলমান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘স্থানীয় জনগণ তিস্তা নদীতীরে স্থায়ী বাঁধের দাবি করছেন। একটা দেড় বছরের সরকারের কাছে অল্প সময়ে এত দাবি করলে আমরা কীভাবে করব? ইতিপূর্বে তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে আমরা পাঁচটি গণশুনানি করেছি। এগুলো সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জমা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ডিজাইন চূড়ান্ত হবে।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন তিস্তা নদীতীর রক্ষায় চলমান কাজ পরিদর্শন করেন সৈয়দা রিজওয়ানা। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিস্তা আমাদের নদী। ভাটির দেশ হিসেবে তিস্তা নদীর ওপর আমাদের অধিকার আছে। আমাদের স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই তিস্তা নদী কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি, সে জন্য আমরা তিস্তার পাঁচটি স্থানে গণশুনানি করেছি। ইতিপূর্বে আমরা ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার অতিভাঙনপ্রবণ এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নতুন করে কোথাও ভাঙন দেখা দিলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পানিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ বেশি দূর এগোয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আবারও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তাপাড়ের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার কথা গণশুনানিতে শুনে সেগুলো পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। এখন সরকারের অন্য দুটি পর্যায়ে এই পরিকল্পনা নিয়ে অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত ডিজাইন দেওয়া হবে। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে, সেগুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর-কষাকষি হবে। এরপর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা দুপুর ১২টায় রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ে চলমান কাজ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ফুলের চারাগাছ উপহার দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় চলমান কাজ (জিও ব্যাগ ফেলা) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি তিস্তাপাড়ের নদীভাঙনের শিকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি তিস্তাপাড়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মোজাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

কুড়িগ্রামে সৈয়দা রিজওয়ানা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর দিয়ে যেতে পারবো

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রাম সফরে তিস্তা নদীতীর রক্ষায় চলমান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘স্থানীয় জনগণ তিস্তা নদীতীরে স্থায়ী বাঁধের দাবি করছেন। একটা দেড় বছরের সরকারের কাছে অল্প সময়ে এত দাবি করলে আমরা কীভাবে করব? ইতিপূর্বে তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে আমরা পাঁচটি গণশুনানি করেছি। এগুলো সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জমা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ডিজাইন চূড়ান্ত হবে।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন তিস্তা নদীতীর রক্ষায় চলমান কাজ পরিদর্শন করেন সৈয়দা রিজওয়ানা। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিস্তা আমাদের নদী। ভাটির দেশ হিসেবে তিস্তা নদীর ওপর আমাদের অধিকার আছে। আমাদের স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই তিস্তা নদী কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি, সে জন্য আমরা তিস্তার পাঁচটি স্থানে গণশুনানি করেছি। ইতিপূর্বে আমরা ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার অতিভাঙনপ্রবণ এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নতুন করে কোথাও ভাঙন দেখা দিলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পানিসম্পদ উপদেষ্টা জানান, ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ বেশি দূর এগোয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আবারও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তাপাড়ের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার কথা গণশুনানিতে শুনে সেগুলো পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। এখন সরকারের অন্য দুটি পর্যায়ে এই পরিকল্পনা নিয়ে অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত ডিজাইন দেওয়া হবে। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে, সেগুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর-কষাকষি হবে। এরপর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।’

সৈয়দা রিজওয়ানা দুপুর ১২টায় রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ে চলমান কাজ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ফুলের চারাগাছ উপহার দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় চলমান কাজ (জিও ব্যাগ ফেলা) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি তিস্তাপাড়ের নদীভাঙনের শিকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি তিস্তাপাড়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মোজাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।