নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সহযোগিতা নিয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নীতিগতভাবে সম্মত ছিল। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের সময়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায় সরকার। তবে সরকার এ বিষয়ে উদারনীতি গ্রহণ করেছে এবং এ প্রকল্প নিয়ে ভারত বা চীন -উভয়ের সঙ্গেই আলোচনা করার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. হৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির স্বাগত জানানোর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা ঝট করে কোনো কিছু প্রত্যাশা করছি না যে, কালকেই কেউ তিস্তা সমস্যার সমাধান করে দেবে। চীনের সঙ্গে আমাদের একটি আমব্রেলা চুক্তি আছে নদীর পানি নিয়ে। নদীর পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার জন্য এবং আমাদের জন্য বিশেষ করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সম্ভব। কোনোটাতেই বাধা নেই। আমা দেখবো যে, কোন প্রজেক্টে কোথা থেকে সহায়তা নিলে আমাদের সুবিধা হবে। সে অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় কাজ করবে।’
চীন সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চীনে কিছু কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে অন্যান্য পর্যায়ে সম্পর্ক আগানো সহজ হয়। দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হযেছে। কিছু কাগজপত্র সই হয়েছে। আমার মনে হয়, সফরটি মোটামুটিভাবে একটি প্রভাব রাখতে পেরেছে।’
গণতন্ত্র নেই এমন দেশও জানতে চায় নির্বাচন কবে: যেসব দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই সেসব দেশও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে তা জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী ছিল তা জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে কোনো জায়গায় কথাবার্তা হলে তারা এমন বলেন। এই সরকার তো নিজে থেকে বলেছে, যথা শিগগির সম্ভব দায়িত্ব শেষ করে নির্বাচন দিয়ে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেওয়া এই সরকারের অঙ্গীকার। এটা যদি অন্য কেউ বলেন, এ কথা প্রায়ই উচ্চারিত হয় এবং যেসব দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই তারাও জানতে চান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এক ধরনের স্থিতিশীলতা, এক ধরনের অনুমাননির্ভরতা থেকে এটা জানতে চাইতে পারেন। কারণ, বিনিয়োগের প্রশ্ন আছে। তারা জানতে চাইতে পারেন কী রকম পরিস্থিতি হবে বা কখন নতুন সরকার আসবে। এটা তাদের নিজেদের স্বার্থে তারা জানতে চাইতে পারেন।