কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠেছে তিস্তা নদীর ভাঙন। গত এক সপ্তাহে ধরে অব্যাহত রয়েছে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার তিস্তার বাম তীরের ১৬টি পয়েন্টে ভাঙন। এদিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসমীর ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এখনো প্রবাহিত হচ্ছে এই নদীটির পানি। এর ফলে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। হুঁমকিতে রয়েছে বুড়িরহাটের দেবে যাওয়া স্পারের বাকি অংশটুকু। গতকাল সোমবার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িযালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা গ্রামের জিয়ারউর রহমান ও ছামসুদ্দিন জানান, পানি বাড়ার পর থেকে ভাঙতে ভাঙতে তিস্তা নদী আমাদের ঘরের কাছে চলে এসেছে। ঘর সরিয়ে নিচ্ছি। এখানে থাকার উপায় নেই। আপাতত অন্যের জায়গায় বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একই গ্রামের ফযেজ উদ্দিন বলেন, আমার পাকা ঘর নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। ভাঙনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ঘর-বাড়ি সরিয়ে কোথায় নিয়ে যাবো তা জানি না। কেউ জায়গা দিতে চায় না। কি করবো বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি গতকাল থেকে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে এসব নদীর অববাহিকায় থাকা নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে তলিয়ে আছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত।
কুড়িগ্রামের সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের ফযজার রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি আমাদের ঘর-বাড়ির চারিদিকে পৌঁছে গেছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলে তা আমাদের ঘরের ভেতর প্রবেশ করবে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তার পানি হ্রাস পেলেও এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে এমনটাই আশা করছি।
নদী ভাঙনের বিষয়ে তিনি বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়া কমার সাথে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের প্রায় ৪০টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ
























