ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

তিল চাষে তিনগুণ লাভ হওয়ায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষক

  • আপডেট সময় : ০৫:১৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: খরচ ও রোগবালাই কম। তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন নেই। ফলে ঝালকাঠিতে বাড়ছে তিল চাষ। স্থানীয় বাজারসহ সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। অন্য ফসলের তুলনায় তিনগুণ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। তিল চাষ বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছেন তারা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে ঝালকাঠি জেলায় তিল চাষ হয়েছিল ৩৯২ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষ হয়েছে ৩৯৬ হেক্টর জমিতে। জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা কাঠালিয়ায় তিল চাষ বেশি হয়েছে। ঝালকাঠি সদরে ৮৬ হেক্টর, নলছিটিতে ৩৫ হেক্টর, রাজাপুরে ১১০ হেক্টর এবং কাঠালিয়ায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

সালাম, আবু বকর, মাসুম, জলিল সিকদারসহ চাষিরা জানান, জেলায় স্থানীয় জাত ছাড়াও বারি তিল-২, বারি তিল-৪ এবং বিনা তিল-৩ চাষ করে সফল হচ্ছেন চাষিরা। বীজ বপনের পর মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফসল তুলতে পারেন তারা। তিল চাষে অন্য ফসলের মতো তেমন ঝামেলা নেই। রোগবালাই কম হয়। তাই খুব একটা কীটনাশক ছেটাতে হয় না। দিতে হয় না কোনো রাসায়নিক সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, তিল চাষে ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রদর্শনী জমির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আগামীতে তিল চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৯৬ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হয়েছে। সারাদেশে এর চাষ সম্প্রসারিত হলে ভোজ্যতেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তিল চাষে তিনগুণ লাভ হওয়ায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষক

আপডেট সময় : ০৫:১৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: খরচ ও রোগবালাই কম। তেমন পরিচর্যারও প্রয়োজন নেই। ফলে ঝালকাঠিতে বাড়ছে তিল চাষ। স্থানীয় বাজারসহ সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। অন্য ফসলের তুলনায় তিনগুণ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। তিল চাষ বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছেন তারা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে ঝালকাঠি জেলায় তিল চাষ হয়েছিল ৩৯২ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষ হয়েছে ৩৯৬ হেক্টর জমিতে। জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা কাঠালিয়ায় তিল চাষ বেশি হয়েছে। ঝালকাঠি সদরে ৮৬ হেক্টর, নলছিটিতে ৩৫ হেক্টর, রাজাপুরে ১১০ হেক্টর এবং কাঠালিয়ায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

সালাম, আবু বকর, মাসুম, জলিল সিকদারসহ চাষিরা জানান, জেলায় স্থানীয় জাত ছাড়াও বারি তিল-২, বারি তিল-৪ এবং বিনা তিল-৩ চাষ করে সফল হচ্ছেন চাষিরা। বীজ বপনের পর মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফসল তুলতে পারেন তারা। তিল চাষে অন্য ফসলের মতো তেমন ঝামেলা নেই। রোগবালাই কম হয়। তাই খুব একটা কীটনাশক ছেটাতে হয় না। দিতে হয় না কোনো রাসায়নিক সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, তিল চাষে ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রদর্শনী জমির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আগামীতে তিল চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৯৬ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হয়েছে। সারাদেশে এর চাষ সম্প্রসারিত হলে ভোজ্যতেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছি।’