ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

তিন লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের প্রতিষ্ঠান এখন অ্যাপল

  • আপডেট সময় : ১১:২১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ফের ইতিহাস গড়লো মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিন লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের মাইলফলক ছুঁয়েছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচনের পর প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০ শতাংশ।

তবে, নিউ ইয়র্কের শেয়ার বাজারে সোমবারের লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই শেয়ারের দরপতনে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য নেমে আসে ২.৯৯ ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ ৯৯ হাজার কোটি ডলারে।
মহামারী চলাকালীন বিক্রি বেড়েছে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ও প্রযুক্তি পণ্যের; অ্যাপল এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি। অ্যাপলের নতুন মাইলফলক প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েডবুশ’ বিশ্লেষক ড্যান আইভস মন্তব্য করেছেন, “তিন লাখ কোটি ডলার (বাজারমূল্য) ছোঁয়া অ্যাপলের জন্য আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সন্দেহকারীদের ভুল প্রমাণ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।” দুই লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের প্রতিষ্ঠান থেকে তিন লাখ কোটির মাইল ফলক ছুঁতে অ্যাপলের সময় লেগেছে ১৬ মাস। মহামারীর কারণে লকডাউন চলাকালীন প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে বেড়েছে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের চাহিদা। ক্রেতার চাহিদা সাফল্য পেয়েছে অ্যাপলও। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ইতিহাসের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এক লাখ কোটি ডলার বাজারমূল্যের মাইল ফলক ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছিল অ্যাপল। দুই লাখ কোটি ডলারের বাজার মূল্য পেরোনো প্রথম প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডও করেছিল এই প্রতিষ্ঠানই। বর্তমানে অ্যাপল সব মিলিয়ে যতো ডিভাইস বিক্রি করে তার অর্ধেকই আইফোন বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে। বাজারে আইপ্যাড ট্যাবলেট এবং ম্যাক কম্পিউটারের চাহিদাও আছে লক্ষ্যণীয় হারে।
ডিভাইসের পাশাপাশি অ্যাপলের আয়ের আরেকটি বড় উৎস প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ স্টোরভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবসা। এ ছাড়াও অন্যান্য আয়ের উৎসের মধ্যে আছে আইক্লাউড, মিউজিক, টেলিভিশন এবং ফিটনেস বিভাগে গ্রাহক সেবা। তবে, অ্যাপলের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছেনে এর সফটওয়্যার ব্যবসার জোর ভূমিকা আছে এবং সফটওয়্যার ব্যবসার বাজারমূল্য সম্ভবতো এক লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের আশপাশে বলে ধারণা করছেন ড্যান আইভস।
আগস্ট মাসে প্রধান নির্বাহীর পদে এক দশক পূর্ণ হয়েছে অ্যাপল প্রধান টিম কুকের। দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ শেয়ার পেয়েছেন কুক। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র নথি বলছে, দশক পূর্তিতে পাওয়া শেয়ারের সিংহভাগই ৭৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে বেচে দিয়েছেন টিম কুক। স্টিভ জবসের কাছ থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ ছিল ওই ৫০ লাখ শেয়ার। ১৯৭৬ সালে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েইনকে নিয়ে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্টিভ জবস। ১৯৮০ সালে শেয়ার বাজারে অভিষেকের সময় প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ছিল ১৮০ কোটি ডলার। নভেম্বর মাসে ওজনিয়াক ও জবসের নির্মিত অ্যাপল কম্পিউটার নিলামে বিক্রি হয়েছে চার লাখ মার্কিন ডলারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তিন লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের প্রতিষ্ঠান এখন অ্যাপল

আপডেট সময় : ১১:২১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : ফের ইতিহাস গড়লো মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিন লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের মাইলফলক ছুঁয়েছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচনের পর প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০ শতাংশ।

তবে, নিউ ইয়র্কের শেয়ার বাজারে সোমবারের লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই শেয়ারের দরপতনে প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য নেমে আসে ২.৯৯ ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ ৯৯ হাজার কোটি ডলারে।
মহামারী চলাকালীন বিক্রি বেড়েছে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ও প্রযুক্তি পণ্যের; অ্যাপল এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি। অ্যাপলের নতুন মাইলফলক প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েডবুশ’ বিশ্লেষক ড্যান আইভস মন্তব্য করেছেন, “তিন লাখ কোটি ডলার (বাজারমূল্য) ছোঁয়া অ্যাপলের জন্য আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সন্দেহকারীদের ভুল প্রমাণ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।” দুই লাখ কোটি ডলার বাজার মূল্যের প্রতিষ্ঠান থেকে তিন লাখ কোটির মাইল ফলক ছুঁতে অ্যাপলের সময় লেগেছে ১৬ মাস। মহামারীর কারণে লকডাউন চলাকালীন প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে বেড়েছে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের চাহিদা। ক্রেতার চাহিদা সাফল্য পেয়েছে অ্যাপলও। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ইতিহাসের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে এক লাখ কোটি ডলার বাজারমূল্যের মাইল ফলক ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছিল অ্যাপল। দুই লাখ কোটি ডলারের বাজার মূল্য পেরোনো প্রথম প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডও করেছিল এই প্রতিষ্ঠানই। বর্তমানে অ্যাপল সব মিলিয়ে যতো ডিভাইস বিক্রি করে তার অর্ধেকই আইফোন বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে। বাজারে আইপ্যাড ট্যাবলেট এবং ম্যাক কম্পিউটারের চাহিদাও আছে লক্ষ্যণীয় হারে।
ডিভাইসের পাশাপাশি অ্যাপলের আয়ের আরেকটি বড় উৎস প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ স্টোরভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবসা। এ ছাড়াও অন্যান্য আয়ের উৎসের মধ্যে আছে আইক্লাউড, মিউজিক, টেলিভিশন এবং ফিটনেস বিভাগে গ্রাহক সেবা। তবে, অ্যাপলের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছেনে এর সফটওয়্যার ব্যবসার জোর ভূমিকা আছে এবং সফটওয়্যার ব্যবসার বাজারমূল্য সম্ভবতো এক লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের আশপাশে বলে ধারণা করছেন ড্যান আইভস।
আগস্ট মাসে প্রধান নির্বাহীর পদে এক দশক পূর্ণ হয়েছে অ্যাপল প্রধান টিম কুকের। দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ শেয়ার পেয়েছেন কুক। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র নথি বলছে, দশক পূর্তিতে পাওয়া শেয়ারের সিংহভাগই ৭৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে বেচে দিয়েছেন টিম কুক। স্টিভ জবসের কাছ থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ ছিল ওই ৫০ লাখ শেয়ার। ১৯৭৬ সালে বন্ধু স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েইনকে নিয়ে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্টিভ জবস। ১৯৮০ সালে শেয়ার বাজারে অভিষেকের সময় প্রতিষ্ঠানটির বাজার মূল্য ছিল ১৮০ কোটি ডলার। নভেম্বর মাসে ওজনিয়াক ও জবসের নির্মিত অ্যাপল কম্পিউটার নিলামে বিক্রি হয়েছে চার লাখ মার্কিন ডলারে।