প্রযুক্তি ডেস্ক : গত তিন বছরে প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী হারিয়েছে ফায়ারফক্স। এক সময়ের জনপ্রিয় এ ব্রাউজার টক্কর দিয়েছে অ্যাপলের সাফারি ও গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে।
প্রযুক্তি বিশ্বের সবার কাছে ফায়ারফক্স পরিচিত একটি নাম। ২০০২ সালে মজিলার এ ব্রাউজার দৃশ্যপটে এসে সাফারি ও ক্রোমের বাজার আধিপত্যে ভাগ বসায়। ওয়েব ব্যবহারকারীদের হাতে সে সময় অনেক অপশন তুলে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
কয়েক বছর আগেও ফায়ারফক্সের অবস্থা ছিল ভিন্ন। ২০১৮ সালে ব্রাউজারটির সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৪ কোটি ৪০ লাখ। পরবর্তী বছরগুলোতে প্রায় পাঁচ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী হারিয়েছে ব্রাউজারটি। মজিলার নিজস্ব পাবলিক ডেটা রিপোর্টে উঠে এসেছে এ তথ্য।
এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট গিজমোডো মন্তব্য করেছে, ব্যবহারকারীরা যে গুগল ক্রোম, মাইক্রোসফট এজের মতো ক্রোমিয়াম-ভিত্তিক ব্রাউজারের দিকে ঝুঁকছেন, সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বিষয়টি।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রি-ইন্সটলড হিসেবেই আসে গুগল ক্রোম। অন্যদিকে, উইন্ডোজে ডিফল্ট ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে থাকে মাইক্রোসফট এজ।
এ ছাড়াও ক্রোমে যাতে দ্রুত ওয়েবসাইট লোড হয় সেজন্য অপটিমাইজড অবস্থায় আসে গুগল ক্রোম। এ ছাড়াও গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বর্তমানে নিজেদের কয়েকশ’ কোটি ব্যবহারকারীকে লক্ষ্য করে ব্রাউজারটির প্রচারণা চালায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে ফায়ারফক্সে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এসেছে মজিলা। এমনকি ব্যবহারকারীদের গোপনতা সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের ডিফল্ট ট্র্যাকিং সুরক্ষা সেটিংসেও পরিবর্তন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনেকের মতামত আবার ভিন্ন, তার বলছেন, ফিক্সের ব্যাপারটি যথেষ্ট নয় এবং ফায়ারফক্সে পর্যাপ্ত কার্যকারিতা আপডেটের অভাব রয়েছে। এর মধ্যে ফায়ারফক্স ৮৯ এর ইউজার ইন্টারফেইসে ধারাবাহিক পরিবর্তন আসার বিষয়টি বিরূপ প্রভাব রেখেছে ব্রাউজারটির জনপ্রিয়তার প্রশ্নে। সবমিলিয়েই প্রতিযোগিতার স্থান থেকে সরে এসেছিল ব্র্যান্ডটি।
এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের হিসেব অনুসারে, ফায়ারফক্সের বর্তমান মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৯ কোটি ৮০ লাখ।
তিন বছরে সাড়ে চার কোটি ব্যবহারকারী হারিয়েছে ফায়ারফক্স
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ