ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

তিন বছরে চীনে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৯৯ শতাংশ : নিক্কেই এশিয়া

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : গত তিন বছরে চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৯৯ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হলো অর্থনৈতিক মন্দা ও তীব্রতর গুপ্তচরবৃত্তিবিরোধী অভিযানের উদ্বেগ। এতে অনেক কোম্পানিই চীনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারিয়েছে। প্রকাশিত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট তথ্যে দেখা গেছে, নতুন বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা মূলধনকে সামান্য ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে নেট ইনফ্লো ছিল ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম। চীনে বার্ষিকভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়ে ছিল ২০২১ সালে ৩৪৪ বিলিয়ন ডলার। করোনা মাহামারির সময় লকডাউন ও জিরো কোভিড নীতির আগে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

চীন তার সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতির কারণে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ, মেধা ও প্রযুক্তি আকর্ষণ করেছিল, যা শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবাদন রেখেছিল। কিন্তু জিরো কোভিড নীতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এরপর পাল্টে যায় প্রবৃদ্ধির চিত্র। গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে চীনা সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় নিরাপত্তার ওপর ক্রমবর্ধমান জোর নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে। পাশাপাশি ক্রমাগত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা কমে গেছে। গত বছর বেশ কয়েকটি বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানি তাদের চীনা কার্যক্রম কমিয়ে এনেছে। বিদেশে তথ্য স্থানান্তরের ওপর বিধিনিষেধ এবং ইন্টারনেটের ওপর কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণের মুখে আইবিএম, মাইক্রোসফট ও সিসকো সিস্টেমস চীনে গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধার আকার কমিয়েছে বা স্থানান্তর করেছে। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

তিন বছরে চীনে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৯৯ শতাংশ : নিক্কেই এশিয়া

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : গত তিন বছরে চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৯৯ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হলো অর্থনৈতিক মন্দা ও তীব্রতর গুপ্তচরবৃত্তিবিরোধী অভিযানের উদ্বেগ। এতে অনেক কোম্পানিই চীনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারিয়েছে। প্রকাশিত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট তথ্যে দেখা গেছে, নতুন বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা মূলধনকে সামান্য ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে নেট ইনফ্লো ছিল ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম। চীনে বার্ষিকভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়ে ছিল ২০২১ সালে ৩৪৪ বিলিয়ন ডলার। করোনা মাহামারির সময় লকডাউন ও জিরো কোভিড নীতির আগে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

চীন তার সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতির কারণে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ, মেধা ও প্রযুক্তি আকর্ষণ করেছিল, যা শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবাদন রেখেছিল। কিন্তু জিরো কোভিড নীতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এরপর পাল্টে যায় প্রবৃদ্ধির চিত্র। গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে চীনা সরকারের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় নিরাপত্তার ওপর ক্রমবর্ধমান জোর নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে। পাশাপাশি ক্রমাগত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা কমে গেছে। গত বছর বেশ কয়েকটি বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানি তাদের চীনা কার্যক্রম কমিয়ে এনেছে। বিদেশে তথ্য স্থানান্তরের ওপর বিধিনিষেধ এবং ইন্টারনেটের ওপর কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণের মুখে আইবিএম, মাইক্রোসফট ও সিসকো সিস্টেমস চীনে গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধার আকার কমিয়েছে বা স্থানান্তর করেছে। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া