ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

তিন দিন নয়, টানা ১৫ দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল দিতে হবে না

  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : তিন দিন নয়, টানা ১৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহককে বিল দিতে হবে না। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) আগের নিয়ম সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নিয়মে কোনও গ্রাহক টানা ১৫ দিন ইন্টারনেট সেবা না পেলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে (আইএসপি) বিল দেবেন না।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা বৃহস্পতিবার বিটিআরসির চিঠি পেয়েছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এতে করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেদিন চিঠি ইস্যু হয়েছে সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর আগে বিটিআরসি গত ৫ অক্টোবর গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এক দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ ভাগ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। দুই দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ ভাগ নেওয়া যাবে। আর টানা তিন দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসের কোনও মাসিক বিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। পুরনো নিয়ম সংশোধন করে নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, টানা পাঁচ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ ভাগ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। আর টানা ১০ দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ ভাগ নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, সরকার গত ৬ জুলাই সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ ঘোষণা করে। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমাদের দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের যে অবকাঠামো তাতে করে একটানা নিরবছিন্ন ইন্টারনেট সেবাদান কঠিন কাজ। অনেক সময় এমন অনেক কাজের জন্য ক্যাবল কাটা যায় যে মেরামত শেষে পুনরায় সংযোগ দিতে অনেক সময় লাগে। ফলে আমি মনে করি নতুন নির্ধারিত সময়টা সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতা দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

তিন দিন নয়, টানা ১৫ দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল দিতে হবে না

আপডেট সময় : ০৯:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : তিন দিন নয়, টানা ১৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহককে বিল দিতে হবে না। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) আগের নিয়ম সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নিয়মে কোনও গ্রাহক টানা ১৫ দিন ইন্টারনেট সেবা না পেলে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে (আইএসপি) বিল দেবেন না।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা বৃহস্পতিবার বিটিআরসির চিঠি পেয়েছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এতে করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেদিন চিঠি ইস্যু হয়েছে সেদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর আগে বিটিআরসি গত ৫ অক্টোবর গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এক দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ ভাগ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। দুই দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ ভাগ নেওয়া যাবে। আর টানা তিন দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসের কোনও মাসিক বিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। পুরনো নিয়ম সংশোধন করে নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, টানা পাঁচ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ ভাগ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। আর টানা ১০ দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ ভাগ নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, সরকার গত ৬ জুলাই সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ ঘোষণা করে। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আমাদের দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের যে অবকাঠামো তাতে করে একটানা নিরবছিন্ন ইন্টারনেট সেবাদান কঠিন কাজ। অনেক সময় এমন অনেক কাজের জন্য ক্যাবল কাটা যায় যে মেরামত শেষে পুনরায় সংযোগ দিতে অনেক সময় লাগে। ফলে আমি মনে করি নতুন নির্ধারিত সময়টা সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতা দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়েছে।