ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

তিন দিনে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার সাড়ে ৪শ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত তিন দিনে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। তাদের মধ্যে গত রোববার উদ্ধার করা হয়েছে ৯৬ জনকে। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন।
গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের অধিকাংশকেই উদ্ধার করেছে জার্মানিভিত্তিক এনজিও সি-ওয়াচ। এছাড়া গ্রিস ও তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ডও কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবপাচারকারীদের তত্ত্বাবধানে ভূমধ্যসাগরের যেসব পথ দিয়ে তুরস্ক কিংবা লিবিয়ার উপকূল দিকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা, গত তিন দিন ধরে সেসবের কয়েকটি জলপথ ও আশপাশে নিয়মিত টহল দিয়েছেন সি-ওয়াচের স্বেচ্ছাসেবীরা। এই তিন দিনের টহলেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীকে।
গত রোববারই জার্মানির এনজিও সি-ওয়াচ ভূমধ্যসাগর থেকে ৯৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহে ৪৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তারা। গ্রিস ও তিউনিশিয়ার কোস্ট গার্ডও বেশ কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। তা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ নৌকাডুবির ফলে মারা গেছেন। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হলেও বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন এবং এখনও নিখোঁজ বহুসংখ্যক অভিবাসী নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
বড়দিনের ঠিক আগে গ্রিসের কোস্ট গার্ড ২৭টি দেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া রোববার লিবিয়ার উপকূলে ২৮টি দেহ ভেসে এসেছে। তার আগে গত বুধবার একটি নৌকাডুবি হয়েছে। সেখানে তিনজন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ আছেন অনেকেই।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ লিবিয়া ও তুরস্কের অপর তীরেই ইউরোপ। মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই বিপজ্জনক পথ দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশি এশিয়া ও আফ্রিকার দারিদ্রপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসেন।
প্রতিকূল এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনাও খুবই সাধারণ ব্যপার। জাতিসংঘের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালে সমুদ্রপথে নৌযানডুবিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ শ’ অভিবাসন প্রত্যাশীর। সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত নৌযান ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণেও ঘটে দুর্ঘটনা।গত সপ্তাহে লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবে ১৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

তিন দিনে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার সাড়ে ৪শ’ অভিবাসনপ্রত্যাশী

আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত তিন দিনে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। তাদের মধ্যে গত রোববার উদ্ধার করা হয়েছে ৯৬ জনকে। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন।
গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের অধিকাংশকেই উদ্ধার করেছে জার্মানিভিত্তিক এনজিও সি-ওয়াচ। এছাড়া গ্রিস ও তিউনিশিয়ার কোস্টগার্ডও কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবপাচারকারীদের তত্ত্বাবধানে ভূমধ্যসাগরের যেসব পথ দিয়ে তুরস্ক কিংবা লিবিয়ার উপকূল দিকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা, গত তিন দিন ধরে সেসবের কয়েকটি জলপথ ও আশপাশে নিয়মিত টহল দিয়েছেন সি-ওয়াচের স্বেচ্ছাসেবীরা। এই তিন দিনের টহলেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীকে।
গত রোববারই জার্মানির এনজিও সি-ওয়াচ ভূমধ্যসাগর থেকে ৯৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহে ৪৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তারা। গ্রিস ও তিউনিশিয়ার কোস্ট গার্ডও বেশ কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। তা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ নৌকাডুবির ফলে মারা গেছেন। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হলেও বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন এবং এখনও নিখোঁজ বহুসংখ্যক অভিবাসী নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
বড়দিনের ঠিক আগে গ্রিসের কোস্ট গার্ড ২৭টি দেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া রোববার লিবিয়ার উপকূলে ২৮টি দেহ ভেসে এসেছে। তার আগে গত বুধবার একটি নৌকাডুবি হয়েছে। সেখানে তিনজন মারা গেছেন এবং নিখোঁজ আছেন অনেকেই।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ লিবিয়া ও তুরস্কের অপর তীরেই ইউরোপ। মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই বিপজ্জনক পথ দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশি এশিয়া ও আফ্রিকার দারিদ্রপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসেন।
প্রতিকূল এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনাও খুবই সাধারণ ব্যপার। জাতিসংঘের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালে সমুদ্রপথে নৌযানডুবিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ শ’ অভিবাসন প্রত্যাশীর। সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত নৌযান ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণেও ঘটে দুর্ঘটনা।গত সপ্তাহে লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবে ১৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছিল।