ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

তিন দফা দাবিতে স্পিকারের কাছে সোহেল তাজের স্মারকলিপি

  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন নভেম্বর জেলা হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ)। তার অন্য দুটি দাবি হচ্ছে— ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
গতকাল সোমবার বিকালে মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে এই স্মারক পৌঁছে দেওয়া হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এর আগে বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বরে (খেজুর বাগান) জড়ো হন সোহেল তাজ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
এখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘মেুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্য আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি।’
তিনি জানান, ২০ মিনিটের জমায়েত শেষে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে শ’ দুয়েক লোকবল নিয়ে সোহেল তাজ দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় অনুমতি সাপেক্ষে সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দফতরে যান।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। তবে ৫ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তারই বোন সিমিন হোসেন রিমি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তিন দফা দাবিতে স্পিকারের কাছে সোহেল তাজের স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন নভেম্বর জেলা হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ (সোহেল তাজ)। তার অন্য দুটি দাবি হচ্ছে— ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
গতকাল সোমবার বিকালে মানিক মিয়া এভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা শেষে এই স্মারক পৌঁছে দেওয়া হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এর আগে বিকাল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বরে (খেজুর বাগান) জড়ো হন সোহেল তাজ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
এখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সোহেল তাজ বলেন, ‘মেুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও তুলে ধরাই নিশ্চিত করতে পারে বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, যা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে সংসদে উপস্থাপনের জন্য আমরা স্মারলিপি দিচ্ছি।’
তিনি জানান, ২০ মিনিটের জমায়েত শেষে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে শ’ দুয়েক লোকবল নিয়ে সোহেল তাজ দক্ষিণ প্লাজার সামনে ১২ নম্বর গেটে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় অনুমতি সাপেক্ষে সোহেল তাজ একাই স্পিকারের দফতরে যান।
মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের ছেলে সোহেল তাজ ২০০১ সালে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে ২০০৮ সালের ভোটের পর সরকার গঠনের সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। তবে ৫ মাস পরই পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। তারপর রাজনীতি থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তার সংসদীয় আসনে (গাজীপুর-৪) এখন সংসদ সদস্য তারই বোন সিমিন হোসেন রিমি।