ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তিতির ডিম-মাংস ভিটামিন সমৃদ্ধ ও কোলেস্টেরলমুক্ত

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাঁস-মুরগির খামারে অনেকেই তিতির পালন করে থাকেন। বাজারেও এগুলোর ভালো চাহিদা আছে। কম খরচে ঘরে বসেই মোটা টাকা আয় করা যায়। তাই তিতির (গিনি ফাউল) পালন একটি ভালো উপায় হতে পারে। এর মাধ্যমে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
তিতির নাম আসলে ‘গিনি ফাউল’। পাখিটি ‘তিতির’ হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন ‘চীনা মুরগি’। এর মাথা ও ঘাড়ে খালি চামড়া থাকে। পালক সাদা ও বাদামি রঙের হয়। গায়ে সাদা দাগ থাকে। গলার রং হলুদ-নীল। মাথায় একটি বাদামি ‘শিরস্ত্রাণ’ থাকে। পায়ে থাকে লাল বাঁট।
পোলট্রি চাষিদের জন্য তিতির পালন একটি ভালো ব্যবসা হতে পারে। এর প্রজাতি বিভিন্ন জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত। ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য তিতিরকে সর্বোত্তম মনে করা হয়। ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং কম কোলেস্টেরল হওয়ায় তিতিরের মাংসকে ভোক্তারা অত্যন্ত সুস্বাদু বলে মনে করেন এবং এটি পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ।
তিতিরগুলো পরিবেশবান্ধব। এর থেকে সার উৎপাদিত হয়। সেইসঙ্গে ক্ষেতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে। স্ত্রী তিতির মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯০ থেকে ১১০টি ডিম দেয়।
কম খরচে পোলট্রি ফার্মিংয়ের মাধ্যমে তিতির চাষ খুব ভালো উপার্জনের উপায় হতে পারে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। ভালো জাত এবং সঠিক প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা দিয়ে পালন করলে মুরগির চেয়ে বছরে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি আয় করা সম্ভব।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তিতির ডিম-মাংস ভিটামিন সমৃদ্ধ ও কোলেস্টেরলমুক্ত

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: হাঁস-মুরগির খামারে অনেকেই তিতির পালন করে থাকেন। বাজারেও এগুলোর ভালো চাহিদা আছে। কম খরচে ঘরে বসেই মোটা টাকা আয় করা যায়। তাই তিতির (গিনি ফাউল) পালন একটি ভালো উপায় হতে পারে। এর মাধ্যমে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
তিতির নাম আসলে ‘গিনি ফাউল’। পাখিটি ‘তিতির’ হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন ‘চীনা মুরগি’। এর মাথা ও ঘাড়ে খালি চামড়া থাকে। পালক সাদা ও বাদামি রঙের হয়। গায়ে সাদা দাগ থাকে। গলার রং হলুদ-নীল। মাথায় একটি বাদামি ‘শিরস্ত্রাণ’ থাকে। পায়ে থাকে লাল বাঁট।
পোলট্রি চাষিদের জন্য তিতির পালন একটি ভালো ব্যবসা হতে পারে। এর প্রজাতি বিভিন্ন জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত। ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য তিতিরকে সর্বোত্তম মনে করা হয়। ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং কম কোলেস্টেরল হওয়ায় তিতিরের মাংসকে ভোক্তারা অত্যন্ত সুস্বাদু বলে মনে করেন এবং এটি পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ।
তিতিরগুলো পরিবেশবান্ধব। এর থেকে সার উৎপাদিত হয়। সেইসঙ্গে ক্ষেতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে। স্ত্রী তিতির মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯০ থেকে ১১০টি ডিম দেয়।
কম খরচে পোলট্রি ফার্মিংয়ের মাধ্যমে তিতির চাষ খুব ভালো উপার্জনের উপায় হতে পারে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। ভালো জাত এবং সঠিক প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা দিয়ে পালন করলে মুরগির চেয়ে বছরে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি আয় করা সম্ভব।