ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

তাড়াহুড়ায় শতরান সেঞ্চুরি মিস হওয়ায় হতাশ কোহলি

  • আপডেট সময় : ০৫:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: বিরাট কোহলির দায়িত্বশীল ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল অসিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ কোহলি। তার মতে, তাড়াহুড়ায় সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে। দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে কোহলির হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটেই ২২৫ রানে পৌঁছে যায় ভারত। তখন জয় থেকে ৪০ রান দূরে টিম ইন্ডিয়া। সেঞ্চুরি পেতে কোহলির দরকার ১৬ রান। কিন্তু ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার এডাম জাম্পাকে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন কোহলি। ১৩৫ মিনিট ক্রিজে থেকে মাত্র ৫টি চারে ৯৮ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।

এবারের আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল কোহলির। ম্যাচ হাতের মুঠোয় থাকার পরও তাড়াহুড়া করতে গিয়েই সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোহলি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রানে মত বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি রান তুলে দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করতে। কখনো কখনো এভাবেই খেলতে চাই। কখনও যা লক্ষ্য থাকে সেটা কাজে লাগে না।’ গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান সাথে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মিল খুঁজে পেয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ভাবে খেলেছি। আসলে ছোট কিছু বিষয় নজর রেখে উইকেট অনুযায়ী খেললে সাফল্য পাওয়া যায়। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ার, সেটা পেরেছি।’ আগ্রাসী ক্রিকেট না খেলে, স্ট্রাইক রোটেটের দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন কোহলি।

তাই মাত্র পাঁচবার বলকে সীমানা ছাড়া করেছেন তিনি। উইকেট ধরে খেলতে গিয়েই বেশি সাবধানী ছিলেন কোহলি। ব্যাটিং করার সময় নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রান তাড়া করা জন্য মরিয়া হইনি। ব্যাটার হিসেবে ফাঁকা জায়গায় বল মেরে এক রান আদায় করার লক্ষ্য ছিল। এমনটা হলে বুঝবেন ভাল ক্রিকেট খেলছেন। এজন্য গর্ববোধ করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। সময় নিয়ে খেললে এবং হাতে উইকেট থাকলে বিপক্ষ দল চাপে পড়তে বাধ্য। আমাদের কাছে তখন ম্যাচটা আরও সহজ হয়। ম্যাচ চলাকালীন সময় নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব দরকার। সব সময় মাথায় রাখি, কত রান দরকার এবং কত ওভার বাকি। যদি হাতে ৬-৭ উইকেট থাকে এবং রান ও বলের পার্থক্য ২৫-৩০ হয় তারপরও চাপ বোধ করিনা।’ আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে ফাইনাল খেলতে নামবে ভারত। তাদের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তাড়াহুড়ায় শতরান সেঞ্চুরি মিস হওয়ায় হতাশ কোহলি

আপডেট সময় : ০৫:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: বিরাট কোহলির দায়িত্বশীল ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল অসিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ কোহলি। তার মতে, তাড়াহুড়ায় সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে। দুবাইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৪ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে কোহলির হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটেই ২২৫ রানে পৌঁছে যায় ভারত। তখন জয় থেকে ৪০ রান দূরে টিম ইন্ডিয়া। সেঞ্চুরি পেতে কোহলির দরকার ১৬ রান। কিন্তু ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার এডাম জাম্পাকে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন কোহলি। ১৩৫ মিনিট ক্রিজে থেকে মাত্র ৫টি চারে ৯৮ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।

এবারের আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল কোহলির। ম্যাচ হাতের মুঠোয় থাকার পরও তাড়াহুড়া করতে গিয়েই সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোহলি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রানে মত বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি রান তুলে দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করতে। কখনো কখনো এভাবেই খেলতে চাই। কখনও যা লক্ষ্য থাকে সেটা কাজে লাগে না।’ গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান সাথে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মিল খুঁজে পেয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ভাবে খেলেছি। আসলে ছোট কিছু বিষয় নজর রেখে উইকেট অনুযায়ী খেললে সাফল্য পাওয়া যায়। লক্ষ্য ছিল বড় জুটি গড়ার, সেটা পেরেছি।’ আগ্রাসী ক্রিকেট না খেলে, স্ট্রাইক রোটেটের দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন কোহলি।

তাই মাত্র পাঁচবার বলকে সীমানা ছাড়া করেছেন তিনি। উইকেট ধরে খেলতে গিয়েই বেশি সাবধানী ছিলেন কোহলি। ব্যাটিং করার সময় নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রান তাড়া করা জন্য মরিয়া হইনি। ব্যাটার হিসেবে ফাঁকা জায়গায় বল মেরে এক রান আদায় করার লক্ষ্য ছিল। এমনটা হলে বুঝবেন ভাল ক্রিকেট খেলছেন। এজন্য গর্ববোধ করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকেই। সময় নিয়ে খেললে এবং হাতে উইকেট থাকলে বিপক্ষ দল চাপে পড়তে বাধ্য। আমাদের কাছে তখন ম্যাচটা আরও সহজ হয়। ম্যাচ চলাকালীন সময় নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব দরকার। সব সময় মাথায় রাখি, কত রান দরকার এবং কত ওভার বাকি। যদি হাতে ৬-৭ উইকেট থাকে এবং রান ও বলের পার্থক্য ২৫-৩০ হয় তারপরও চাপ বোধ করিনা।’ আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে ফাইনাল খেলতে নামবে ভারত। তাদের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।