ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

তাসকিন ঝড়ে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : কাগিসো রাবাদার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পরপরই দিগ্বিদিক ছুটছেন তাসকিন আহমেদ। কেনই-বা ছুটবেন না! এমন দিনটি দেখার জন্য পাক্কা আটটি বছর অপেক্ষা করলেন ‘মিরপুর এক্সপ্রেস’!
প্রথম দুই স্পেলে ২ উইকেট পাওয়ার পর বোলিংয়ে ফিরে সেঞ্চুরিয়নে আরো ৩টি পেয়েছেন তাসকিন। তার এই ৫ উইকেট প্রাপ্য ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেভাবে বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন, তাতে বড় কিছুর আশা করা বাড়াবাড়ি নয়। সিরিজ জয়ের পরীক্ষায় গতকাল বুধবার তাসকিন এমন দিনটি দেখেই ফেললেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ২০১৪ সালে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ৫ উইকেটের জন্য ডানহাতি পেসারের অপেক্ষা করতে হলো ৮ বছর। অবশ্য এই কয়েক বছরে কত ঝড়-ঝাপ্টা গেছে তার ওপর দিয়ে। ইনজুরি, ফর্মহীনতা, দল থেকে বাদ পড়া; খেলায় অমনযোগী-কত কিছু হয়ে গেল তার জীবনে! সেই সমস্ত কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে তাসকিন এখন বিশ্বমানের পেসার।
ফরফুরে, ঝরঝরে তাসকিন বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দেখালেন নিজের ক্যারিশমা। প্রথম দুই স্পেলে ৫ ওভারে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। পেয়েছিলেন কাইল ভেরিয়েন্ন ও জান্নেমান মালানের উইকেট। পরবর্তীতে ফিরেই তার শিকার আরো ৩ ব্যাটার, হয়ে গেল দ্বিতীয় ৫। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে আউট করার পর একই ওভারে তার শিকার ডেভিড মিলার ও রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০১২ সালের পর সফরকারী দলের পেসার পেলেন ৫ উইকেট। সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা।
বাংলাদেশের পেসারদের দেশের বাইরে ফাইফারের সংখ্যা খুবই কম। মাশরাফি ২০০৬ সালে নাইরোবিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন। যা এখনো দেশের যে কোনো বোলারদের মধ্যে সেরা। মাশরাফি বাদে বিদেশে ৫ উইকেট পাওয়া পেসাররা হলেন জিয়াউর রহমান, আবু জায়েদ রাহী ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজই কেবল দুই বার এই সাফল্য পান। সেটাও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাসকিন সেই এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন।
এর আগে সাকিব আল হাসান সবশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে ২০২১ সালে। ক্যারিয়ারে তিনবার ৫ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার দেশের বাইরে এমন কীর্তি করেছেন দুইবার। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে পাল্লেকেল্লেতে একবার ৫ উইকেট পেয়েছিলেন।
ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান : এই সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো ফরম্যাটেই জয় ছিল না বাংলাদেশের। এবার প্রথম ওয়ানডে জিতেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন টাইগাররা। এবার সিরিজ জিতে আরেকটি ইতিহাসের হাতছানি। বোলাররা অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছেন। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ তো বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছেন। তার এমন বোলিংয়ে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সিরিজ জিততে দরকার ১৫৫ রান। গতকাল রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ব্যাটিং করছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তাসকিন ঝড়ে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : কাগিসো রাবাদার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পরপরই দিগ্বিদিক ছুটছেন তাসকিন আহমেদ। কেনই-বা ছুটবেন না! এমন দিনটি দেখার জন্য পাক্কা আটটি বছর অপেক্ষা করলেন ‘মিরপুর এক্সপ্রেস’!
প্রথম দুই স্পেলে ২ উইকেট পাওয়ার পর বোলিংয়ে ফিরে সেঞ্চুরিয়নে আরো ৩টি পেয়েছেন তাসকিন। তার এই ৫ উইকেট প্রাপ্য ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেভাবে বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন, তাতে বড় কিছুর আশা করা বাড়াবাড়ি নয়। সিরিজ জয়ের পরীক্ষায় গতকাল বুধবার তাসকিন এমন দিনটি দেখেই ফেললেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় ২০১৪ সালে অভিষেকে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ৫ উইকেটের জন্য ডানহাতি পেসারের অপেক্ষা করতে হলো ৮ বছর। অবশ্য এই কয়েক বছরে কত ঝড়-ঝাপ্টা গেছে তার ওপর দিয়ে। ইনজুরি, ফর্মহীনতা, দল থেকে বাদ পড়া; খেলায় অমনযোগী-কত কিছু হয়ে গেল তার জীবনে! সেই সমস্ত কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে তাসকিন এখন বিশ্বমানের পেসার।
ফরফুরে, ঝরঝরে তাসকিন বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দেখালেন নিজের ক্যারিশমা। প্রথম দুই স্পেলে ৫ ওভারে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। পেয়েছিলেন কাইল ভেরিয়েন্ন ও জান্নেমান মালানের উইকেট। পরবর্তীতে ফিরেই তার শিকার আরো ৩ ব্যাটার, হয়ে গেল দ্বিতীয় ৫। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে আউট করার পর একই ওভারে তার শিকার ডেভিড মিলার ও রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০১২ সালের পর সফরকারী দলের পেসার পেলেন ৫ উইকেট। সবশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার হয়ে লাসিথ মালিঙ্গা।
বাংলাদেশের পেসারদের দেশের বাইরে ফাইফারের সংখ্যা খুবই কম। মাশরাফি ২০০৬ সালে নাইরোবিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন। যা এখনো দেশের যে কোনো বোলারদের মধ্যে সেরা। মাশরাফি বাদে বিদেশে ৫ উইকেট পাওয়া পেসাররা হলেন জিয়াউর রহমান, আবু জায়েদ রাহী ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজই কেবল দুই বার এই সাফল্য পান। সেটাও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাসকিন সেই এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন।
এর আগে সাকিব আল হাসান সবশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের মাটিতে ২০২১ সালে। ক্যারিয়ারে তিনবার ৫ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার দেশের বাইরে এমন কীর্তি করেছেন দুইবার। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে পাল্লেকেল্লেতে একবার ৫ উইকেট পেয়েছিলেন।
ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান : এই সফরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো ফরম্যাটেই জয় ছিল না বাংলাদেশের। এবার প্রথম ওয়ানডে জিতেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন টাইগাররা। এবার সিরিজ জিতে আরেকটি ইতিহাসের হাতছানি। বোলাররা অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছেন। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ তো বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছেন। তার এমন বোলিংয়ে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সিরিজ জিততে দরকার ১৫৫ রান। গতকাল রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ব্যাটিং করছিল।