ক্রীড়া প্রতিবেদক: ৭ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েন তাসকিন আহমেদ। ঢাকা ক্যাপিটালসের রানও যায়নি খুব বেশি দূরে। এরপর ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু রায়ান বার্লের সঙ্গে এনামুল হক বিজয়ের জুটিতে সহজ জয়ই পেয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ঢাকা। পরে ১১ বল আগেই জয় পায় রাজশাহী।
রান তাড়ায় নেমে উড়ন্ত শুরু করেন মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু প্রথম ওভারেই তাকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ বলে ১ ছক্কা ও চারে ১২ রান করা এই ব্যাটারের স্লিপে ক্যাচ নেন এস্কানজি। এক ওভার পর আউট হন জিসান আলমও। ৮ বলে শূন্য রান করে ফেরেন মুকিদুল ইসলামে বলে। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রাজশাহীকে টেনে তোলেন এনামুল হক ও ইয়াসির আলী। দুজনের ৩৩ বলে ৪২ রানের জুটি ভাঙেন আলাউদ্দিন বাবু।
দুবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার ২০ বলে ২২ রান করে ক্যাচ আউট হন। তবে দলকে আর উইকেট হারাতে দেননি এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্ল। তারা দুজনই জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩ রান করে বিজয় এবং ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৬ বলে আসে ১০৬ রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। পাঁচ বলে কোন রান করার আগেই ইয়াসির আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে তাসকিনের শিকার হন লিটন দাস। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানও ১০ বলে ৯ রান করে তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তবে তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন স্টিফেন এস্কানজি ও শাহাদাৎ হোসেন দীপু। ৪৭ বলে ৭৯ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান মুরাদ। ২৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করা এস্কানজিকে বোল্ড করেন তিনি। দীপু হাফ সেঞ্চুরি পান। ৪১ বলে ৭ চারের ইনিংসে ৫০ রান করেন তাসকিনের বলে আউট হন তিনি। মাঝে এসে ৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা।
প্রথম স্পেলে দুই উইকেট পাওয়া তাসকিন আবার বোলিংয়ে আসেন ১৭তম ওভারে। এই ওভারের প্রথম বলে দীপুকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট পান তাসকিন। পঞ্চম বলে আউট হন চতুরঙ্গ ডি সিলভা, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আবার শেষ ওভার করতে এসে তিন উইকেট পান তাসকিন। এবার তিনি ফেরান আলাউদ্দিন বাবু, মুকিদুল ইসলাম ও রানজানেকে। সবমিলিয়ে চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তাসকিন। বিপিএল তো বটেই, বাংলাদেশের কোন বোলারেরই এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এত উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই। এর আগে ২০১৯ সালে ভাইটালিটি ব্লাস্টে প্রথমবার সাত উইকেট পান নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারম্যান। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে কেবল ৮ রানে ৭ উইকেট সেরা বোলিং ফিগারের বিশ্বরেকর্ড গড়েন মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস।