ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট থমকে যাওয়ায় আইসিসির উদ্বেগ

  • আপডেট সময় : ০১:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিন পর। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে কেবল আফগানিস্তান অনুপস্থিত ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে। সেটি অবশ্য খুব বিস্ময়কর নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো অনেক দূরের কথা, তাদের জাতীয় দলেরই কোনো খবর নেই! তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেটের কার্যক্রম থমকে গেছে পুরোপুরি। অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে আইসিসি এই পরিস্থিতিকে বলছে ‘উদ্বেগজনক।’ আগামী মার্চে পরবর্তী বোর্ড সভায় আফগান ক্রিকেটে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জেফ অ্যালারডাইস। পূর্ণ সদস্য হিসেবে আইসিসির তহবিল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির যেসব শর্ত আছে, এর মধ্যে একটি হলো মেয়েদের ক্রিকেট পুরোপুরি সক্রিয় রাখা। বর্তমানে আফগানিস্তানই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা মেয়েদের ক্রিকেটের এই শর্ত মানছে না। আফগানিস্তানে নারী জাতীয় দল কখনোই সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে আইসিসির শর্ত মেনে টুকটাক তা শুরু হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তালেবানদের শাসনে আফগান ক্রিকেটের নানা বাস্তবতা পর্যালোচনার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে আইসিসি। সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজার নেতৃত্বে এই কমিটি তালেবান সরকার ও আফগান বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে। মেয়েদের ক্রিকেটে সমর্থন দেওয়াসহ আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কিছুই করা হয়নি। তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে ছেলেদের ক্রিকেটের বিস্তারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মেয়েদের ক্রিকেটে কোনো বিনিয়োগ বা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাবুলে আফগান বোর্ডের সদর দপ্তরে যে মেয়েরা কাজ করতেন, তারাও আর কাজ করছেন না। কয়েকজন দেশের বাইরে চলে গেছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার পর আইসিসি আবার নড়েচড়ে বসেছে। নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস বলছেন, তারা গুরুত্ব দিয়েই ব্যাপারটি দেখবেন। “আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। সেখানে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই আমাদের বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে কিছুই এগোচ্ছে না (মেয়েদের ক্রিকেটে), যা অবশ্যই আমাদের জন্য উদ্বেগের এবং আগামী মার্চে পরের সভায় আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। আমরা যতদূর জানি, এ মূহূর্তে সেখানে কোনো কার্যক্রমই নেই (মেয়েদের ক্রিকেটের)।”
তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট থমকে যাওয়ায় আইসিসির উদ্বেগ
ক্রীড়া ডেস্ক : মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিন পর। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে কেবল আফগানিস্তান অনুপস্থিত ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে। সেটি অবশ্য খুব বিস্ময়কর নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো অনেক দূরের কথা, তাদের জাতীয় দলেরই কোনো খবর নেই! তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেটের কার্যক্রম থমকে গেছে পুরোপুরি। অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে আইসিসি এই পরিস্থিতিকে বলছে ‘উদ্বেগজনক।’ আগামী মার্চে পরবর্তী বোর্ড সভায় আফগান ক্রিকেটে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জেফ অ্যালারডাইস। পূর্ণ সদস্য হিসেবে আইসিসির তহবিল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির যেসব শর্ত আছে, এর মধ্যে একটি হলো মেয়েদের ক্রিকেট পুরোপুরি সক্রিয় রাখা। বর্তমানে আফগানিস্তানই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা মেয়েদের ক্রিকেটের এই শর্ত মানছে না। আফগানিস্তানে নারী জাতীয় দল কখনোই সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে আইসিসির শর্ত মেনে টুকটাক তা শুরু হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তালেবানদের শাসনে আফগান ক্রিকেটের নানা বাস্তবতা পর্যালোচনার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে আইসিসি। সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজার নেতৃত্বে এই কমিটি তালেবান সরকার ও আফগান বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে। মেয়েদের ক্রিকেটে সমর্থন দেওয়াসহ আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কিছুই করা হয়নি। তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে ছেলেদের ক্রিকেটের বিস্তারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মেয়েদের ক্রিকেটে কোনো বিনিয়োগ বা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাবুলে আফগান বোর্ডের সদর দপ্তরে যে মেয়েরা কাজ করতেন, তারাও আর কাজ করছেন না। কয়েকজন দেশের বাইরে চলে গেছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার পর আইসিসি আবার নড়েচড়ে বসেছে। নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস বলছেন, তারা গুরুত্ব দিয়েই ব্যাপারটি দেখবেন। “আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। সেখানে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই আমাদের বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে কিছুই এগোচ্ছে না (মেয়েদের ক্রিকেটে), যা অবশ্যই আমাদের জন্য উদ্বেগের এবং আগামী মার্চে পরের সভায় আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। আমরা যতদূর জানি, এ মূহূর্তে সেখানে কোনো কার্যক্রমই নেই (মেয়েদের ক্রিকেটের)।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

র‌্যাবের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে ছিনিয়ে নিলো সহযোগীরা

তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট থমকে যাওয়ায় আইসিসির উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০১:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিন পর। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে কেবল আফগানিস্তান অনুপস্থিত ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে। সেটি অবশ্য খুব বিস্ময়কর নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো অনেক দূরের কথা, তাদের জাতীয় দলেরই কোনো খবর নেই! তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেটের কার্যক্রম থমকে গেছে পুরোপুরি। অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে আইসিসি এই পরিস্থিতিকে বলছে ‘উদ্বেগজনক।’ আগামী মার্চে পরবর্তী বোর্ড সভায় আফগান ক্রিকেটে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জেফ অ্যালারডাইস। পূর্ণ সদস্য হিসেবে আইসিসির তহবিল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির যেসব শর্ত আছে, এর মধ্যে একটি হলো মেয়েদের ক্রিকেট পুরোপুরি সক্রিয় রাখা। বর্তমানে আফগানিস্তানই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা মেয়েদের ক্রিকেটের এই শর্ত মানছে না। আফগানিস্তানে নারী জাতীয় দল কখনোই সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে আইসিসির শর্ত মেনে টুকটাক তা শুরু হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তালেবানদের শাসনে আফগান ক্রিকেটের নানা বাস্তবতা পর্যালোচনার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে আইসিসি। সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজার নেতৃত্বে এই কমিটি তালেবান সরকার ও আফগান বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে। মেয়েদের ক্রিকেটে সমর্থন দেওয়াসহ আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কিছুই করা হয়নি। তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে ছেলেদের ক্রিকেটের বিস্তারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মেয়েদের ক্রিকেটে কোনো বিনিয়োগ বা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাবুলে আফগান বোর্ডের সদর দপ্তরে যে মেয়েরা কাজ করতেন, তারাও আর কাজ করছেন না। কয়েকজন দেশের বাইরে চলে গেছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার পর আইসিসি আবার নড়েচড়ে বসেছে। নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস বলছেন, তারা গুরুত্ব দিয়েই ব্যাপারটি দেখবেন। “আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। সেখানে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই আমাদের বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে কিছুই এগোচ্ছে না (মেয়েদের ক্রিকেটে), যা অবশ্যই আমাদের জন্য উদ্বেগের এবং আগামী মার্চে পরের সভায় আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। আমরা যতদূর জানি, এ মূহূর্তে সেখানে কোনো কার্যক্রমই নেই (মেয়েদের ক্রিকেটের)।”
তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে নারী ক্রিকেট থমকে যাওয়ায় আইসিসির উদ্বেগ
ক্রীড়া ডেস্ক : মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিন পর। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলির মধ্যে কেবল আফগানিস্তান অনুপস্থিত ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে। সেটি অবশ্য খুব বিস্ময়কর নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো অনেক দূরের কথা, তাদের জাতীয় দলেরই কোনো খবর নেই! তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেটের কার্যক্রম থমকে গেছে পুরোপুরি। অনেক দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে আইসিসি এই পরিস্থিতিকে বলছে ‘উদ্বেগজনক।’ আগামী মার্চে পরবর্তী বোর্ড সভায় আফগান ক্রিকেটে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জেফ অ্যালারডাইস। পূর্ণ সদস্য হিসেবে আইসিসির তহবিল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির যেসব শর্ত আছে, এর মধ্যে একটি হলো মেয়েদের ক্রিকেট পুরোপুরি সক্রিয় রাখা। বর্তমানে আফগানিস্তানই একমাত্র পূর্ণ সদস্য দেশ, যারা মেয়েদের ক্রিকেটের এই শর্ত মানছে না। আফগানিস্তানে নারী জাতীয় দল কখনোই সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে আইসিসির শর্ত মেনে টুকটাক তা শুরু হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তালেবানদের শাসনে আফগান ক্রিকেটের নানা বাস্তবতা পর্যালোচনার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে আইসিসি। সংস্থার ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজার নেতৃত্বে এই কমিটি তালেবান সরকার ও আফগান বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে। মেয়েদের ক্রিকেটে সমর্থন দেওয়াসহ আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সবকিছুই করা হবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কিছুই করা হয়নি। তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানে ছেলেদের ক্রিকেটের বিস্তারে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মেয়েদের ক্রিকেটে কোনো বিনিয়োগ বা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাবুলে আফগান বোর্ডের সদর দপ্তরে যে মেয়েরা কাজ করতেন, তারাও আর কাজ করছেন না। কয়েকজন দেশের বাইরে চলে গেছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তালেবান সরকার আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার পর আইসিসি আবার নড়েচড়ে বসেছে। নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস বলছেন, তারা গুরুত্ব দিয়েই ব্যাপারটি দেখবেন। “আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে যা হচ্ছে, তা অবশ্যই উদ্বেগজনক। সেখানে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই আমাদের বোর্ড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে কিছুই এগোচ্ছে না (মেয়েদের ক্রিকেটে), যা অবশ্যই আমাদের জন্য উদ্বেগের এবং আগামী মার্চে পরের সভায় আমরা এটা নিয়ে কথা বলব। আমরা যতদূর জানি, এ মূহূর্তে সেখানে কোনো কার্যক্রমই নেই (মেয়েদের ক্রিকেটের)।”