ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

তালেবান বহু সাবেক আফগান কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করা আফগানিস্তানের সাবেক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বহু লোককে তালেবান ও তাদের সহযোগিরা হত্যা করেছে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আফগানিস্তানের ভাগ্য ‘সুতোয় ঝুলছে’: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া প্রতিবেদনটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের গোচরে এসেছে। এতে দেখা গেছে, অগাস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর যুদ্ধ থামলেও আফগানিস্তানের তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষের জীবনমান দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেছেন, “জটিল একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক পদ্ধতির পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”
অগাস্টের মাঝামাঝি তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীগুলোর অবশিষ্ট সেনারা দেশটি ছেড়ে যায়। এরপর আন্তর্জাতিক দাতারা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এতে আফগানিস্তানজুড়ে মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট গুরুতর আকার ধারণ করতে থাকে।
গত কয়েক মাসে এ নিয়ে একের পর এক সতর্কতা জারি করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তার জমা দেওয়া প্রতিবেদনেও সেসব কথা উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ ইউনিট তৈরি করার পাশাপাশি আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন পুনর্গঠনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে পরামর্শ দিয়েছেন গুতেরেস।
তার দেওয়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তালেবানের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করা লোকজন, সাবেক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ‘খুন, গুম ও নির্যাতন করার’ বিশ্বাসযোগ্য বহু অভিযোগ পাচ্ছে জাতিসংঘ মিশন।
১৫ অগাস্টের পর থেকে এরকম শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশকে তালেবান ও তাদের সহযোগিরা হত্যা করেছে সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য বলে নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ মিশন।
এতে আরও বলা হয়, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থানীয় শাখার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৫০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীরা ধারাবাহিকভাবে হামলা, হুমকি, হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার, দুর্ব্যবহার ও হত্যার শিকার হচ্ছে,” বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তালেবান বহু সাবেক আফগান কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে

আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করা আফগানিস্তানের সাবেক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বহু লোককে তালেবান ও তাদের সহযোগিরা হত্যা করেছে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আফগানিস্তানের ভাগ্য ‘সুতোয় ঝুলছে’: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া প্রতিবেদনটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের গোচরে এসেছে। এতে দেখা গেছে, অগাস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর যুদ্ধ থামলেও আফগানিস্তানের তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষের জীবনমান দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেছেন, “জটিল একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক পদ্ধতির পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।”
অগাস্টের মাঝামাঝি তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীগুলোর অবশিষ্ট সেনারা দেশটি ছেড়ে যায়। এরপর আন্তর্জাতিক দাতারা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এতে আফগানিস্তানজুড়ে মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট গুরুতর আকার ধারণ করতে থাকে।
গত কয়েক মাসে এ নিয়ে একের পর এক সতর্কতা জারি করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তার জমা দেওয়া প্রতিবেদনেও সেসব কথা উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় নতুন একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ ইউনিট তৈরি করার পাশাপাশি আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন পুনর্গঠনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে পরামর্শ দিয়েছেন গুতেরেস।
তার দেওয়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তালেবানের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করা লোকজন, সাবেক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ‘খুন, গুম ও নির্যাতন করার’ বিশ্বাসযোগ্য বহু অভিযোগ পাচ্ছে জাতিসংঘ মিশন।
১৫ অগাস্টের পর থেকে এরকম শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশকে তালেবান ও তাদের সহযোগিরা হত্যা করেছে সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য বলে নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ মিশন।
এতে আরও বলা হয়, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থানীয় শাখার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৫০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মীরা ধারাবাহিকভাবে হামলা, হুমকি, হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার, দুর্ব্যবহার ও হত্যার শিকার হচ্ছে,” বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।