ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

তালেবান নেতা বারাদার টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

  • আপডেট সময় : ১১:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এখনো তালেবানের দখলে। এই দখল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের শান্তি চুক্তির সময় সশস্ত্র সংগঠনের যে নেতাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তিনি মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তালেবানের এ সহপ্রতিষ্ঠাতা জায়গা পেয়েছেন ২০২১ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়।
এই ১০০ ব্যক্তির প্রোফাইল প্রকাশ করেছে টাইম। বারাদারের পরিচিতিতে বলা হয়েছে, তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের প্রভাবশালী সামরিক নেতাও তিনি। টাইমের জন্য বারাদারের এ পরিচিতিমূলক লেখা পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ রশিদ লেখেন।
টাইম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বারাদার। আর এ সমঝোতার ওপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদ দখল করতে পেরেছে তালেবান। বলা হয়ে থাকে, তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন বারাদার। আফগানিস্তানের সাবেক সরকারি কর্মীদের জন্য যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তও তিনি নেন। কাবুলে তালেবানের প্রবেশের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে তালেবানের যোগাযোগ ও সফরেও তিনি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বারদারকে। তবে একটি প্রশ্ন তাঁকে নিয়ে থাকছে, তা হলো আফগানিস্তান থেকে মার্কিনদের বিদায়ে যিনি কাজ করেছেন, তিনি তালেবানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন কি না।
তালেবান যাত্রার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বারাদার। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি তিনি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উরুজগান প্রদেশে ১৯৬৮ সালে বারাদারের জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। ১৯৮০ দশকে অন্যান্য তালেবান নেতার মতো তিনিও মুজাহিদিনে যোগ দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা ফিরে গেলে তিনি কান্দাহারে ফিরে যান এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৯০ দশকের শুরুতে তালেবান প্রতিষ্ঠায় মোল্লা ওমরকে সাহায্য করেন তিনি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এ সরকারে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বারাদার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালালে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। এরপর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বারাদার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তালেবান নেতা বারাদার টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

আপডেট সময় : ১১:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এখনো তালেবানের দখলে। এই দখল কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের শান্তি চুক্তির সময় সশস্ত্র সংগঠনের যে নেতাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তিনি মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তালেবানের এ সহপ্রতিষ্ঠাতা জায়গা পেয়েছেন ২০২১ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়।
এই ১০০ ব্যক্তির প্রোফাইল প্রকাশ করেছে টাইম। বারাদারের পরিচিতিতে বলা হয়েছে, তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের প্রভাবশালী সামরিক নেতাও তিনি। টাইমের জন্য বারাদারের এ পরিচিতিমূলক লেখা পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ রশিদ লেখেন।
টাইম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বারাদার। আর এ সমঝোতার ওপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদ দখল করতে পেরেছে তালেবান। বলা হয়ে থাকে, তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন বারাদার। আফগানিস্তানের সাবেক সরকারি কর্মীদের জন্য যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তও তিনি নেন। কাবুলে তালেবানের প্রবেশের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে তালেবানের যোগাযোগ ও সফরেও তিনি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বারদারকে। তবে একটি প্রশ্ন তাঁকে নিয়ে থাকছে, তা হলো আফগানিস্তান থেকে মার্কিনদের বিদায়ে যিনি কাজ করেছেন, তিনি তালেবানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন কি না।
তালেবান যাত্রার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বারাদার। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি তিনি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উরুজগান প্রদেশে ১৯৬৮ সালে বারাদারের জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। ১৯৮০ দশকে অন্যান্য তালেবান নেতার মতো তিনিও মুজাহিদিনে যোগ দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা ফিরে গেলে তিনি কান্দাহারে ফিরে যান এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৯০ দশকের শুরুতে তালেবান প্রতিষ্ঠায় মোল্লা ওমরকে সাহায্য করেন তিনি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এ সরকারে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বারাদার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালালে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। এরপর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বারাদার।