ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

তালেবান নেতাদের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:কাবুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠ তিন তালেবান নেতাকে হত্যা অথবা বন্দি করার জন্য তাদের অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা তুলে নিয়েছে।

এই তিনজনই আফগানিস্তানের প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা। তাদের মধ্যে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানিও আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা আফগানিস্তানের সাবেক পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছেন।

২০০৮ সালের জানুয়ারিতে কাবুলের সেরেনা হোটেলে এক হামলায় মার্কিন নাগরিক থর ডেভিড হেসলাসহ ছয়জন নিহত হন। সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এই হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তার নাম মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ‘ন্যায়বিচারের জন্য পুরস্কার’ তালিকায় নেই বলে আল অ্যারাবিয়া নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কিন্তু রোববারও (২৩ মার্চ) মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ওয়েবসাইটে সিরাজুদ্দিন হাক্কানির একটি ফেরারি পোস্টার শোভা পাচ্ছিল।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, আব্দুল আজিজ হাক্কানি ও ইয়াহিয়া হাক্কানির ওপর জারি করা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কানি একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুইজন আপন ভাই ও অপরজন তাদের চাচাতো ভাই।”

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বহুজাতিক বাহিনী আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর হাক্কানি নেটওয়ার্ক তালেবানের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অংশগুলোর একটি হয়ে ওঠে।

এই নেটওয়ার্ক আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে বোমা পেতে রাখা, আত্মঘাতী হামলা ও অন্য সব ধরনের হামলা চালাতো। তারা কাবুলের মার্কিন দূতাবাস, ভারতীয় দূতাবাস, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালিয়েছে। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধমূলক তৎপরতায়ও জড়িত ছিল।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালালি বলেন, তালেবান শুক্রবার মার্কিন বন্দি জর্জ গ্লেজম্যানকে মুক্তি দিয়েছে আর এই অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করা দেখাচ্ছে উভয় পক্ষ ‘যুদ্ধকালীন সময়ের প্রভাব কাটিয়ে উঠছে’ আর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করতে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে’।

জালালি বলেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এই দুই সরকারের বাস্তববাদী ও বাস্তবসম্মত সম্পৃক্ততার ভালো উদাহরণ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তালেবান নেতাদের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:কাবুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠ তিন তালেবান নেতাকে হত্যা অথবা বন্দি করার জন্য তাদের অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা তুলে নিয়েছে।

এই তিনজনই আফগানিস্তানের প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা। তাদের মধ্যে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানিও আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা আফগানিস্তানের সাবেক পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছেন।

২০০৮ সালের জানুয়ারিতে কাবুলের সেরেনা হোটেলে এক হামলায় মার্কিন নাগরিক থর ডেভিড হেসলাসহ ছয়জন নিহত হন। সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এই হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তার নাম মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের ‘ন্যায়বিচারের জন্য পুরস্কার’ তালিকায় নেই বলে আল অ্যারাবিয়া নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কিন্তু রোববারও (২৩ মার্চ) মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ওয়েবসাইটে সিরাজুদ্দিন হাক্কানির একটি ফেরারি পোস্টার শোভা পাচ্ছিল।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, আব্দুল আজিজ হাক্কানি ও ইয়াহিয়া হাক্কানির ওপর জারি করা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

কানি একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুইজন আপন ভাই ও অপরজন তাদের চাচাতো ভাই।”

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বহুজাতিক বাহিনী আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার পর হাক্কানি নেটওয়ার্ক তালেবানের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অংশগুলোর একটি হয়ে ওঠে।

এই নেটওয়ার্ক আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে বোমা পেতে রাখা, আত্মঘাতী হামলা ও অন্য সব ধরনের হামলা চালাতো। তারা কাবুলের মার্কিন দূতাবাস, ভারতীয় দূতাবাস, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালিয়েছে। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধমূলক তৎপরতায়ও জড়িত ছিল।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালালি বলেন, তালেবান শুক্রবার মার্কিন বন্দি জর্জ গ্লেজম্যানকে মুক্তি দিয়েছে আর এই অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করা দেখাচ্ছে উভয় পক্ষ ‘যুদ্ধকালীন সময়ের প্রভাব কাটিয়ে উঠছে’ আর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করতে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে’।

জালালি বলেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এই দুই সরকারের বাস্তববাদী ও বাস্তবসম্মত সম্পৃক্ততার ভালো উদাহরণ।