ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

তালেবান-জান্তা আপাতত জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর তাদের মেনে নেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে। জাতিসংঘে তালেবান সরকারের প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রদূতকে আনা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সেনা সরকার গঠনের পর থেকে একই সমস্যা তৈরি হয়েছে মিয়ানমার নিয়েও। শুক্রবার এ বিষয়ে জাতিসংঘে বৈঠক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার বিবৃতি প্রকাশ করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তালেবানের আফগানিস্তান, সেনাশাসকের হাতে থাকা মিয়ানমার এবং লিবিয়া। ফাতি বাশাঘা লিবিয়ায় গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল স্টেবিলিটি তৈরি করেছেন। ত্রিপোলির গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটিকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ ফাতিকে মেনে নেয়নি। কিন্তু তার সরকারের সমর্থন পাচ্ছে। ফলে তারাও জাতিসংঘে জায়গা পাওয়ার আবেদন করেছে। ২০২১ সালেই আফগানিস্তান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমার নিয়েও এর আগেই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নিয়ে দুইবার সময় পেছালো। শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ নয়টি দেশ নিয়ে তৈরি বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে। বস্তুত, সেই প্রতিবেদনেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তালেবান-জান্তা আপাতত জাতিসংঘে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না

আপডেট সময় : ০১:১৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর তাদের মেনে নেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে। জাতিসংঘে তালেবান সরকারের প্রতিনিধি বা রাষ্ট্রদূতকে আনা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। সেনা সরকার গঠনের পর থেকে একই সমস্যা তৈরি হয়েছে মিয়ানমার নিয়েও। শুক্রবার এ বিষয়ে জাতিসংঘে বৈঠক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার বিবৃতি প্রকাশ করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তালেবানের আফগানিস্তান, সেনাশাসকের হাতে থাকা মিয়ানমার এবং লিবিয়া। ফাতি বাশাঘা লিবিয়ায় গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল স্টেবিলিটি তৈরি করেছেন। ত্রিপোলির গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটিকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ ফাতিকে মেনে নেয়নি। কিন্তু তার সরকারের সমর্থন পাচ্ছে। ফলে তারাও জাতিসংঘে জায়গা পাওয়ার আবেদন করেছে। ২০২১ সালেই আফগানিস্তান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমার নিয়েও এর আগেই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নিয়ে দুইবার সময় পেছালো। শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘের সাধারণ সভায় রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ নয়টি দেশ নিয়ে তৈরি বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে। বস্তুত, সেই প্রতিবেদনেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে।