ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

তালিকা ও অনুমোদনে সীমাবদ্ধ সরকারি হাসপাতাল জরুরি যন্ত্রাংশ ও উপকরণ

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : দেশজুড়ে করোনা মহামারী দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করলেও এখনো সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি যন্ত্রাংশ ও উপকরণ কেনা হয়নি। ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, সিলিন্ডার ও হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম। সংকট নিরসনে মহামারী শুরুর দিকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রান্তিক পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য নতুন চাহিদাপত্র তৈরি করলেও এখনো ওই চাহিদাপত্রের কোনো উপকরণ বা যন্ত্রাংশই কেনা হয়নি। বরং দেশের সকল বিভাগের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত যন্ত্রাংশ ও উপকরণের চাহিদা তালিকাবদ্ধ ও অনুমোদন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা গত মার্চেই সংকটাপন্ন করোনা রোগীর চিকিৎসায় জরুরি যন্ত্রপাতির সঙ্কটে পড়ে। সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৮ বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চাহিদা পাঠাতে বলে। সে অনুযায়ী গত এপ্রিলের প্রথমদিকেই একটি চাহিদাপত্র তৈরি করা হয় আর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পাঠানো হয়। তারপর দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ওই চাহিদার কোনো উপকরণ কিনতেই ক্রয়াদেশ দেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, ৮ বিভাগের জন্য চাহিদার তালিকায় ৫ ধরনের যন্ত্রসহ বেশ কয়েক ধরনের উপকরণের কথা বলা হয়েছে। যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৯১টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ২ হাজার ২১৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ৯৩৭টি আইসিইউ শয্যা (মনিটরসহ), ৭৩৬টি ভেন্টিলেটর ও ২১ হাজার ২৭৯টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। সব মিলিয়ে ৫ ধরনের যন্ত্রের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৫৯টি। তাছাড়া ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৯টি রেমডিসিভির ইনজেকশন, ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৪টি আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, ২০ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৫টি পিপিই কভারঅল (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) ও ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৬টি মাস্কের চাহিদাও দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সরকারি হাসপাতালগুলোর চাহিদার চিঠি পাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তারপর মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যায়। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চাহিদায় অনুমোদন দিয়ে মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। আর প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করলে ওই চাহিদাপত্র আবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে ফিরে আসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদার যন্ত্রাংশ ও উপকরণ মোট ৯টি প্যাকেজে কেনা হবে বলে জানা যায়। ওসব কেনাকাটার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ওসব কেনা হবে। তবে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিভিন্ন নিয়মে দেশ ও বিদেশ থেকে কেনা হয়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে সময় বাঁচাতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতেও (ডিপিএম) যন্ত্রপাতি কেনার কথা রয়েছে। কিন্তু এখনো ক্রয় আদেশ হয়নি। আর চলতি মাসের মধ্যে ক্রয়াদেশ হলেও ওসব ঔষধাগারে পৌঁছতে জুলাই বা আগস্ট মাস হয়ে যাবে।
এদিকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রায় ৫ হাজার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৭০০ এবং ১২০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তবে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, পিসিআর পরীক্ষার কিট, রেমডিসিভির ইনজেকশন শেষ হয়ে গেছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়লে ওসব সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে মহামারীর সময় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও উপকরণ কিনতে দেরি করাকে করোনা বিষয়ে সরকারের গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম অপরাধ হিসেবেই দেখছেন। তার মতে, একে তো চাহিদার তালিকা দেরিতে করা হয়েছে। তারপর সব কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষ হওয়ার দেড় মাস পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ক্রয় আদেশ দিতে পারেনি। দেরি হওয়ার বিষয়টি জবাবদিহিতার আওতায় আনা দরকার। একই সঙ্গে মহামারীর সময়ে বিভিন্ন কার্যালয়ে অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে আনাও জরুরি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, চাহিদা অনুযায়ী জরুরি ওসব যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় অন্য উৎস থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত এপ্রিলের শুরুতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাহিদা দিয়েছে। তারপর দু’মাসের বেশি সময় গেলেও কিছুই কেনা হয়নি। ওসব পেতে আরো দেড় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে সরাসরি যেসব যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে সামনে সংক্রমণ বাড়লে আবারো যন্ত্রপাতির সংকট প্রকট হতে পারে।
একই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান কাজের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ হয়নি দাবি করে জানান, সব কাজই দ্রুত করা হচ্ছে। শিগগিরই ক্রয় আদেশ দেয়া হবে। আগামী মাসেই ওসব উপকরণ চলে আসবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

তালিকা ও অনুমোদনে সীমাবদ্ধ সরকারি হাসপাতাল জরুরি যন্ত্রাংশ ও উপকরণ

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : দেশজুড়ে করোনা মহামারী দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করলেও এখনো সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি যন্ত্রাংশ ও উপকরণ কেনা হয়নি। ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, সিলিন্ডার ও হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম। সংকট নিরসনে মহামারী শুরুর দিকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রান্তিক পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য নতুন চাহিদাপত্র তৈরি করলেও এখনো ওই চাহিদাপত্রের কোনো উপকরণ বা যন্ত্রাংশই কেনা হয়নি। বরং দেশের সকল বিভাগের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত যন্ত্রাংশ ও উপকরণের চাহিদা তালিকাবদ্ধ ও অনুমোদন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা গত মার্চেই সংকটাপন্ন করোনা রোগীর চিকিৎসায় জরুরি যন্ত্রপাতির সঙ্কটে পড়ে। সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৮ বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চাহিদা পাঠাতে বলে। সে অনুযায়ী গত এপ্রিলের প্রথমদিকেই একটি চাহিদাপত্র তৈরি করা হয় আর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তা কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পাঠানো হয়। তারপর দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ওই চাহিদার কোনো উপকরণ কিনতেই ক্রয়াদেশ দেয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, ৮ বিভাগের জন্য চাহিদার তালিকায় ৫ ধরনের যন্ত্রসহ বেশ কয়েক ধরনের উপকরণের কথা বলা হয়েছে। যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৯১টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ২ হাজার ২১৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ৯৩৭টি আইসিইউ শয্যা (মনিটরসহ), ৭৩৬টি ভেন্টিলেটর ও ২১ হাজার ২৭৯টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। সব মিলিয়ে ৫ ধরনের যন্ত্রের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৫৯টি। তাছাড়া ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৯টি রেমডিসিভির ইনজেকশন, ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৪টি আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, ২০ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৫টি পিপিই কভারঅল (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) ও ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৬টি মাস্কের চাহিদাও দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সরকারি হাসপাতালগুলোর চাহিদার চিঠি পাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তারপর মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যায়। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চাহিদায় অনুমোদন দিয়ে মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। আর প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন করলে ওই চাহিদাপত্র আবার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে ফিরে আসে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদার যন্ত্রাংশ ও উপকরণ মোট ৯টি প্যাকেজে কেনা হবে বলে জানা যায়। ওসব কেনাকাটার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ওসব কেনা হবে। তবে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিভিন্ন নিয়মে দেশ ও বিদেশ থেকে কেনা হয়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে সময় বাঁচাতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতেও (ডিপিএম) যন্ত্রপাতি কেনার কথা রয়েছে। কিন্তু এখনো ক্রয় আদেশ হয়নি। আর চলতি মাসের মধ্যে ক্রয়াদেশ হলেও ওসব ঔষধাগারে পৌঁছতে জুলাই বা আগস্ট মাস হয়ে যাবে।
এদিকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রায় ৫ হাজার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৭০০ এবং ১২০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তবে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, পিসিআর পরীক্ষার কিট, রেমডিসিভির ইনজেকশন শেষ হয়ে গেছে। ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়লে ওসব সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে মহামারীর সময় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও উপকরণ কিনতে দেরি করাকে করোনা বিষয়ে সরকারের গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম অপরাধ হিসেবেই দেখছেন। তার মতে, একে তো চাহিদার তালিকা দেরিতে করা হয়েছে। তারপর সব কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষ হওয়ার দেড় মাস পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ক্রয় আদেশ দিতে পারেনি। দেরি হওয়ার বিষয়টি জবাবদিহিতার আওতায় আনা দরকার। একই সঙ্গে মহামারীর সময়ে বিভিন্ন কার্যালয়ে অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে আনাও জরুরি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, চাহিদা অনুযায়ী জরুরি ওসব যন্ত্রাংশ না পাওয়ায় অন্য উৎস থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত এপ্রিলের শুরুতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাহিদা দিয়েছে। তারপর দু’মাসের বেশি সময় গেলেও কিছুই কেনা হয়নি। ওসব পেতে আরো দেড় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে সরাসরি যেসব যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। ফলে সামনে সংক্রমণ বাড়লে আবারো যন্ত্রপাতির সংকট প্রকট হতে পারে।
একই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান কাজের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ হয়নি দাবি করে জানান, সব কাজই দ্রুত করা হচ্ছে। শিগগিরই ক্রয় আদেশ দেয়া হবে। আগামী মাসেই ওসব উপকরণ চলে আসবে।