নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নির্বাচনী আবহকে সামনে রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলেই বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক কাজ শেষ হয়ে যাবে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী আয়কর আইনজীবী ফোরামের আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন সেদিন একটি অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে। সেদিনই বিএনপির অর্ধেক প্রচারণা সম্পন্ন হয়ে যাবে। প্রচারণা নির্বাচনের মূল বিষয়, আর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন হবে সেই প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দু।”
তিনি আরও বলেন, সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব। এজন্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকারের প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। তার ভাষায়, নির্বাচনের পথেই স্থিতিশীলতা আসবে এবং আগামীর নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস শুধু তাদেরই। “এক জায়গায় গিয়ে আওয়ামী কর্মীরা বলে জয়, দেড় মাইল দূরে গিয়ে বলে বাংলা—এটাই তাদের অবস্থা। তারা যেন আর দাঁড়াতে না পারে, সে রাজনীতি করবে আগামীর নেতৃত্ব।”
নির্বাচনের সময়সূচি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের এক সপ্তাহ আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন হতে পারে। তবে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে কিংবা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের প্রতি তিনি নসিহত করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, বড় ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিলে তা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে এবং নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারেও সেটির প্রতিফলন ঘটাবে।
সালাহউদ্দিন আরও সতর্ক করেন যে, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশনা—জোটবদ্ধ হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার নিয়ম—এটি ভবিষ্যতে নির্বাচনী জটিলতা তৈরি করতে পারে। তার মতে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে বিএনপি মানুষের কল্যাণে কর্মসূচি দিয়ে আসছে এবং জনগণও তা সমর্থন করছে।
ওআ/আপ্র/০৭/০৯/২০২৫