ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্র ফিরবে’, আশায় বিএনপি

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘নেতৃত্বে’ দেশে গণতন্ত্র ‘ফিরে আসবে’ মন্তব্য করে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ‘প্রস্তুতি নিতে’ বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
গতকাল সোমবার দুপুরে ব্জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এমন আহ্বান জানান
১৯৮৩ সালে স্বৈরাচার প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।
“ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে পেরেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পেরেছি, এবার আমাদের ভাই তারেক রহমানের নেতৃত্বেও পারব ইনশাল্লাহ।”
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সরকার বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতার জন্য তারাই আমাদের সাথী হবে যারা গণতন্ত্র চায়, যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়।
“যারা সরকারের সুবিধাভোগী হয়ে কিছু ব্যক্তিগত লাভের জন্য চিন্তা করে না- তেমন মানুষ যারা, তেমন সংগঠন যারা, তেমন দল যারা, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে, যারা গণতন্ত্র পছন্দ করে, যারা উন্নয়ন চায় সবার জন্য, তাদের সবার সাথে আমাদের ঐক্য হবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে জনগণের উন্নয়ন, কতিপয় ব্যক্তির নয়, কতিপয় গোষ্ঠীর নয়।
“আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, যেখানে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার থাকবে, নির্বিগ্নে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে-সেই বাংলাদেশ আমরা ফেরত চাই।”

এ জন্য ‘আবেদন-নিবেদন’ না করে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।

“এই ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের রক্তের ঋণ শোধ করব, এই লড়াইয়ের মাধ্যমে। আসুন আগামী দিনে সেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্ততি নেই।”

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, “আজকে তিনি একটা রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে আবদ্ধ, দারুণভাবে অসুস্থ।

“কিন্তু তার আদর্শ, আমাদের প্রতি তার স্নেহ এবং বিভিন্ন সময়ে যে দায়বোধ প্রমাণ করেছেন তার প্রতিদান দেওয়ার সময় এসেছে।”

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ভাই তারেক রহমান অন্যায়ভাবে সরকারি রোষের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে হবে।
“আমাদের নেতা শহীদ জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে যে স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি অকালে জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছেন সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।”
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনাসভায় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে অতীতের মতো ছাত্র সমাজকে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। ১৯৮২ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ড. মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেই কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালালে জয়নাল, জাফর, কাঞ্চন, দিপালী সাহা, মোজাম্মেল, আইয়ুবসহ ১০ শিক্ষার্থী নিহত হন। তখন থেকে দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯টায় আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ছাত্র নেতারা কার্জন হল ও শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও তৎকালীন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় সাবেক ছাত্র নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, এম এ জলিল, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, জহির উদ্দিন স্বপন, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুতফর রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আসাদুর রহমান খান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শহীদুল ইসলাম বাবুল ও ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ‘গণতন্ত্র ফিরবে’, আশায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘নেতৃত্বে’ দেশে গণতন্ত্র ‘ফিরে আসবে’ মন্তব্য করে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ‘প্রস্তুতি নিতে’ বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
গতকাল সোমবার দুপুরে ব্জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এমন আহ্বান জানান
১৯৮৩ সালে স্বৈরাচার প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।
“ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে পেরেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পেরেছি, এবার আমাদের ভাই তারেক রহমানের নেতৃত্বেও পারব ইনশাল্লাহ।”
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ সরকার বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাতার জন্য তারাই আমাদের সাথী হবে যারা গণতন্ত্র চায়, যারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়।
“যারা সরকারের সুবিধাভোগী হয়ে কিছু ব্যক্তিগত লাভের জন্য চিন্তা করে না- তেমন মানুষ যারা, তেমন সংগঠন যারা, তেমন দল যারা, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে, যারা গণতন্ত্র পছন্দ করে, যারা উন্নয়ন চায় সবার জন্য, তাদের সবার সাথে আমাদের ঐক্য হবে।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে জনগণের উন্নয়ন, কতিপয় ব্যক্তির নয়, কতিপয় গোষ্ঠীর নয়।
“আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে, যেখানে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার থাকবে, নির্বিগ্নে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে-সেই বাংলাদেশ আমরা ফেরত চাই।”

এ জন্য ‘আবেদন-নিবেদন’ না করে লড়াই করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।

“এই ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সালে জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের রক্তের ঋণ শোধ করব, এই লড়াইয়ের মাধ্যমে। আসুন আগামী দিনে সেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্ততি নেই।”

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, “আজকে তিনি একটা রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে আবদ্ধ, দারুণভাবে অসুস্থ।

“কিন্তু তার আদর্শ, আমাদের প্রতি তার স্নেহ এবং বিভিন্ন সময়ে যে দায়বোধ প্রমাণ করেছেন তার প্রতিদান দেওয়ার সময় এসেছে।”

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের ভাই তারেক রহমান অন্যায়ভাবে সরকারি রোষের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে হবে।
“আমাদের নেতা শহীদ জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে যে স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি অকালে জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছেন সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।”
নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনাসভায় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে অতীতের মতো ছাত্র সমাজকে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। ১৯৮২ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ড. মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেই কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি চালালে জয়নাল, জাফর, কাঞ্চন, দিপালী সাহা, মোজাম্মেল, আইয়ুবসহ ১০ শিক্ষার্থী নিহত হন। তখন থেকে দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯টায় আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ছাত্র নেতারা কার্জন হল ও শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও তৎকালীন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় সাবেক ছাত্র নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, এম এ জলিল, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, জহির উদ্দিন স্বপন, ফজলুল হক মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুতফর রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, আসাদুর রহমান খান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শহীদুল ইসলাম বাবুল ও ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।