ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

তারেক-জোবাইদাকে আদালতে হাজিরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ

  • আপডেট সময় : ১১:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে ‘পালিয়ে থাকা’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান সোমবার এ গেজেট প্রকাশ করেন বলে দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান। এতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। পরোয়ানা জারির পরও তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নাগাল না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী তারিখে ‘কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি’- মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হলে বিচারক বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলে ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করেছিল দুদক। মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মারা যাওয়ায় পরে তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে জোবাইদাকে বরখাস্ত করে সরকার। তারা এখন সেখানেই থাকেন। বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক, তার মা খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দ- নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তিনিই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

তারেক-জোবাইদাকে আদালতে হাজিরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ

আপডেট সময় : ১১:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : চার মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে ‘পালিয়ে থাকা’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান সোমবার এ গেজেট প্রকাশ করেন বলে দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান। এতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। যেহেতু আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটি না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। পরোয়ানা জারির পরও তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নাগাল না পাওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী তারিখে ‘কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি’- মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হলে বিচারক বিজি প্রেসের মাধ্যমে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলে ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করেছিল দুদক। মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মারা যাওয়ায় পরে তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে জোবাইদাকে বরখাস্ত করে সরকার। তারা এখন সেখানেই থাকেন। বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক, তার মা খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দ- নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তিনিই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক।