ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

তামিমকে হতাশায় ডোবালেন বরিশালের সালমান

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ ওভারের আগপর্যন্ত জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। বেশ নির্ভার থেকেই শেষ ওভারের দায়িত্বটা ইরফান হোসেনের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইয়াসির আলী। বরিশাল তখন জয় থেকে ২৫ রান দূরে। কিন্তু এরপর সালমান হোসেন ইমন যা করলেন, তেমনটা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সচরাচর ঘটে না বলে যায়। ২৫ কেন উল্টো ২৬ রান তুলে বরিশালকে ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন তিনি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে চট্টগ্রাম। তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি ব্যাটাররা অবশ্য সেভাবে থিতু পারেননি। ৫৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯১ রানে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনি আউট হওয়ার সময় চট্টগ্রামের ইনিংস শেষ হতে আরও ২১ বল বাকি ছিল। বরিশালের হয়ে ২৫ রানে তিনটি উইকেট নেন মাহেদী হাসান। জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ৩৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর মাঝখানে পথ হারায় বরিশাল। একপর্যায়ে হার অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই শেষ ওভারে চমক হয়ে এলেন সালমান। ইরফানের প্রথম বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তবে পরের দুই বলে ডিপ পয়েন্ট ও ডিপ মিডউইকেট দিয়ে দুটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। চতুর্থ বলে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন তিনি। চার বলে ১৬ রান দিয়ে ঘাবড়ে যান ইরফান। আর স্নায়ুচাপে ভুগেই ভুলটা করে বসলেন ডানহাতি এই পেসার। তার করা নো বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন সালমান। পরে পঞ্চম বলে কোনো রান নিতে না পারলেও শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নায়কোচিত ইনিংস খেলে ২৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি উইকেট নেন আহমেদ শরীফ। একটি করে শিকার নাঈম হাসান ও ইরফান হোসেনের। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন হারের পর প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে সিলেট বিভাগ। জিশান আলমের ঝোড়ো ফিফটিতে খুলনা বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। আউটার স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে খুলনাকে বেঁধে দেয় সিলেট। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৩৪ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে এতোদূর এগোতে পারত না তারা। সিলেটের হয়ে দুটি উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। তাড়া করতে নেমে জিশানের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্য পাড়ি দেয় সিলেট। প্রথম সেঞ্চুরি করা ডানহাতি এই ওপেনার আজ খেলেন ৪৮ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস। পরে ১২ বলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিও উপহার দেন তোফায়েল আহমেদ। এদিকে এর আগে দিনের প্রথম দুই টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। রাজশাহী বিভাগের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য ২ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় রংপুর। ৪৫ বলে ৭১ রান করেন ওপেনার তানভীর হায়দার। এছাড়া ২৯ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৬৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আকবর আলী। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। ৪ ম্যাচ শেষে রংপুরের সমান ৮ পয়েন্ট থাকলেও রানরেটের কারণে টেবিলের দুইয়ে আছে তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তামিমকে হতাশায় ডোবালেন বরিশালের সালমান

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ ওভারের আগপর্যন্ত জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। বেশ নির্ভার থেকেই শেষ ওভারের দায়িত্বটা ইরফান হোসেনের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইয়াসির আলী। বরিশাল তখন জয় থেকে ২৫ রান দূরে। কিন্তু এরপর সালমান হোসেন ইমন যা করলেন, তেমনটা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সচরাচর ঘটে না বলে যায়। ২৫ কেন উল্টো ২৬ রান তুলে বরিশালকে ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন তিনি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে চট্টগ্রাম। তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি ব্যাটাররা অবশ্য সেভাবে থিতু পারেননি। ৫৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯১ রানে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তিনি আউট হওয়ার সময় চট্টগ্রামের ইনিংস শেষ হতে আরও ২১ বল বাকি ছিল। বরিশালের হয়ে ২৫ রানে তিনটি উইকেট নেন মাহেদী হাসান। জবাব দিতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ৩৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর মাঝখানে পথ হারায় বরিশাল। একপর্যায়ে হার অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই শেষ ওভারে চমক হয়ে এলেন সালমান। ইরফানের প্রথম বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তবে পরের দুই বলে ডিপ পয়েন্ট ও ডিপ মিডউইকেট দিয়ে দুটি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। চতুর্থ বলে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন তিনি। চার বলে ১৬ রান দিয়ে ঘাবড়ে যান ইরফান। আর স্নায়ুচাপে ভুগেই ভুলটা করে বসলেন ডানহাতি এই পেসার। তার করা নো বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন সালমান। পরে পঞ্চম বলে কোনো রান নিতে না পারলেও শেষ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নায়কোচিত ইনিংস খেলে ২৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
চট্টগ্রামের হয়ে দুটি উইকেট নেন আহমেদ শরীফ। একটি করে শিকার নাঈম হাসান ও ইরফান হোসেনের। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন হারের পর প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে সিলেট বিভাগ। জিশান আলমের ঝোড়ো ফিফটিতে খুলনা বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। আউটার স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে খুলনাকে বেঁধে দেয় সিলেট। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৩৪ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে এতোদূর এগোতে পারত না তারা। সিলেটের হয়ে দুটি উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। তাড়া করতে নেমে জিশানের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্য পাড়ি দেয় সিলেট। প্রথম সেঞ্চুরি করা ডানহাতি এই ওপেনার আজ খেলেন ৪৮ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস। পরে ১২ বলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিও উপহার দেন তোফায়েল আহমেদ। এদিকে এর আগে দিনের প্রথম দুই টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। রাজশাহী বিভাগের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য ২ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পাড়ি দেয় রংপুর। ৪৫ বলে ৭১ রান করেন ওপেনার তানভীর হায়দার। এছাড়া ২৯ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৬৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আকবর আলী। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। ৪ ম্যাচ শেষে রংপুরের সমান ৮ পয়েন্ট থাকলেও রানরেটের কারণে টেবিলের দুইয়ে আছে তারা।