ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

তামিমকে স্যালুট, ভালো লাগতো মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখলে: বাশার

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর জাতীয় দলের বাইরে। তামিম ইকবাল ফিরবেন কি ফিরবেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিলই না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে আবারও চলে আসে ফেরার আলোচনা। তবে অবশেষে তামিম নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ।

তামিমকে অনেকেই আরও একবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন যার হাত ধরে অর্থাৎ অধিনায়কত্বে তামিমের অভিষেক হয়েছিল, সেই হাবিবুল বাশার সুমনও। তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও সুমন জানালেন, তার আশা ছিল দেশসেরা এই ওপেনার জাতীয় দলে ফিরবেন।

মাঠ থেকে তামিমকে বিদায় নিতে দেখলে ভালো লাগতো। সুমন বলেন, ‘যদিও গত দুই বছর ধরেই তামিম নেই, তারপরও মনে করেছিলাম যে আরও একবার বাংলাদেশের পক্ষে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তাকে খেলতে দেখব। হয়তো মাঠ থেকেই এ সফল ওপেনারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হবে, এরকম একটা ধারণা ছিল।

কিন্তু তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। এরকম লম্বা ক্যারিয়ারের পর শরীর ও মনের একটা ব্যাপার থাকে। মনটা কী চায়, মনটা কতখানি চায়, সেটাই ক্রিকেটাররা বড় করে দেখতে চান।’ ‘আমার মনে হয়, তামিমের মনটা আর জাতীয় দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চায় না। সে আগ্রহটা কমে গেছে। তাই হয়তো সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলবে না। হুইচ ইজ কমপ্লিটলি ফাইন।’

তামিমের যখন জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে, তখন টিম বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন ছিলেন হাবিবুল বাশার। তাই তরুণ তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন সুমন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার মূল্যায়ন, ‘তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক নতুন বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তামিমের জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়েছে একদম আমার চোখের সামনে। আমি তখন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। বলা যায়, আমার হাত ধরেই, মানে আমার ক্যাপ্টেন্সিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু তামিমের।’ ‘লম্বা ক্যারিয়ারে তামিমের সাফল্য অনেক। সে নিজেকে অনেক ওপরে দাঁড় করিয়েছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক বড় ইনিংস খেলেছে সে।

অনেক ম্যাচ জেতানো নক আছে। দলের প্রয়োজনে এক হাতেও ব্যাট করেছে। খুব ভালো লাগতো যদি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারতো। বাট স্যালুট টু তামিম। সে সেটারই দাবিদার।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তামিমকে স্যালুট, ভালো লাগতো মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখলে: বাশার

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর জাতীয় দলের বাইরে। তামিম ইকবাল ফিরবেন কি ফিরবেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিলই না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে আবারও চলে আসে ফেরার আলোচনা। তবে অবশেষে তামিম নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ।

তামিমকে অনেকেই আরও একবার জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন যার হাত ধরে অর্থাৎ অধিনায়কত্বে তামিমের অভিষেক হয়েছিল, সেই হাবিবুল বাশার সুমনও। তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও সুমন জানালেন, তার আশা ছিল দেশসেরা এই ওপেনার জাতীয় দলে ফিরবেন।

মাঠ থেকে তামিমকে বিদায় নিতে দেখলে ভালো লাগতো। সুমন বলেন, ‘যদিও গত দুই বছর ধরেই তামিম নেই, তারপরও মনে করেছিলাম যে আরও একবার বাংলাদেশের পক্ষে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তাকে খেলতে দেখব। হয়তো মাঠ থেকেই এ সফল ওপেনারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হবে, এরকম একটা ধারণা ছিল।

কিন্তু তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। এরকম লম্বা ক্যারিয়ারের পর শরীর ও মনের একটা ব্যাপার থাকে। মনটা কী চায়, মনটা কতখানি চায়, সেটাই ক্রিকেটাররা বড় করে দেখতে চান।’ ‘আমার মনে হয়, তামিমের মনটা আর জাতীয় দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চায় না। সে আগ্রহটা কমে গেছে। তাই হয়তো সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলবে না। হুইচ ইজ কমপ্লিটলি ফাইন।’

তামিমের যখন জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে, তখন টিম বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন ছিলেন হাবিবুল বাশার। তাই তরুণ তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন সুমন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার মূল্যায়ন, ‘তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক নতুন বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তামিমের জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়েছে একদম আমার চোখের সামনে। আমি তখন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। বলা যায়, আমার হাত ধরেই, মানে আমার ক্যাপ্টেন্সিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু তামিমের।’ ‘লম্বা ক্যারিয়ারে তামিমের সাফল্য অনেক। সে নিজেকে অনেক ওপরে দাঁড় করিয়েছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক বড় ইনিংস খেলেছে সে।

অনেক ম্যাচ জেতানো নক আছে। দলের প্রয়োজনে এক হাতেও ব্যাট করেছে। খুব ভালো লাগতো যদি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারতো। বাট স্যালুট টু তামিম। সে সেটারই দাবিদার।’