নিজস্ব প্রতিবেদক : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তামাক কোম্পানিগুলো। জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আইন সংশোধন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: বিশেষজ্ঞ ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন টকশোতে বিশেষজ্ঞরা এ মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।
বক্তারা বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে ২০০৫ সালে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে এখনো আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। সারাদেশে তামাক কোম্পানিগুলোর আইন লঙ্ঘনের চিত্র দৃশ্যমান। উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রশাসনকে আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে গেলে তামাক কোম্পানিগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীদের ডিলার হিসেবে নিযুক্ত করে তাদের মাধ্যমে উন্নয়নকর্মী এবং দোকানদারদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটি আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রস্তাবনায় লাইসেন্স ব্যতীত তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম ও খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকটা অগ্রসর হওয়া যাবে। যত্রতত্র তামাক পণ্যের বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, প্যাকেটে সতর্কবাণীর উদ্দেশ্য অর্জনের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা এবং সর্বদা গণমাধ্যমগুলোতে আলোচনায় থাকা। তামাক কোম্পানিগুলোর সরাসরি সিএসআর কর্মসূচি নিষিদ্ধ করে সেই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে অন্য কোনো জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহারের বিধান করা হলে কোম্পানিগুলোর সরকার ও নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করার অপচেষ্টা বন্ধ করবে। এছাড়া সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে তামাক পণ্যের খুচরা বিক্রয় বন্ধ নিষিদ্ধের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বাধাগ্রস্ত করছে কোম্পানিগুলো
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ


























