ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সাংবাদিকদের সংগঠন বিএইচআরএফের সংবাদ সম্মেলন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দ্রুত অধ্যাদেশ দাবি

  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী আনতে দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)।

এই আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণভাবে বন্ধের দাবিও জানিয়েছে স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত সাংবাদিকদের এই সংগঠন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে বিএইচআরএফ সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ লঙ্ঘন করে তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার এনবিআর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে। এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুযায়ী, কোনো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানি বা তাদের সহযোগীদের মতামত গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বাধ্য। তাই সরকারের সংশ্লিষ্টদের এফসিটিসি পুরোপুরি অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা বলেন, ধূমপান না করেও শিশু-কিশোরদের একটি বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে; পাবলিক প্লেসে ৫৯ শতাংশ এবং বাড়িতে ৩১ শতাংশ। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৫ বছরের নিচের ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু নানা রোগে ভুগছে। তাই অধূমপায়ী ও শিশুদের সুরক্ষায় ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিল করে সকল পাবলিক স্থান ও পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা জরুরি।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ তামাক। এ কারণে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। তরুণ প্রজন্মকে এই বিপদ থেকে রক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টানাইমুল আজম খান, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. অরুনা সরকার, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।

সানা/আপ্র/০৭/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিকদের সংগঠন বিএইচআরএফের সংবাদ সম্মেলন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দ্রুত অধ্যাদেশ দাবি

আপডেট সময় : ০৯:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী আনতে দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)।

এই আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণভাবে বন্ধের দাবিও জানিয়েছে স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত সাংবাদিকদের এই সংগঠন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে বিএইচআরএফ সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ লঙ্ঘন করে তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার এনবিআর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে। এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুযায়ী, কোনো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানি বা তাদের সহযোগীদের মতামত গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বাধ্য। তাই সরকারের সংশ্লিষ্টদের এফসিটিসি পুরোপুরি অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা বলেন, ধূমপান না করেও শিশু-কিশোরদের একটি বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে; পাবলিক প্লেসে ৫৯ শতাংশ এবং বাড়িতে ৩১ শতাংশ। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ১৫ বছরের নিচের ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু নানা রোগে ভুগছে। তাই অধূমপায়ী ও শিশুদের সুরক্ষায় ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) বাতিল করে সকল পাবলিক স্থান ও পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা জরুরি।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ তামাক। এ কারণে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। তরুণ প্রজন্মকে এই বিপদ থেকে রক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টানাইমুল আজম খান, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. অরুনা সরকার, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।

সানা/আপ্র/০৭/১০/২০২৫