ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

তামাকবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশের এমপিরাই সবচেয়ে এগিয়ে’

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে কাজ করছে। এ ধরনের কাজে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরাই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে। সে আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এটি সংশোধন করা জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সই করা একটি চিঠি দিয়েছি। এটা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। হাবিবে মিল্লাত বলেন, একটা সময় সংসদ সদস্যরা তামাকের পক্ষে চিঠি দিতেন। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তামাকের কর বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮৬ জন সংসদ সদস্যের সই করা চিঠি দিয়েছি। আমরা ৪০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে তামাকবিরোধী কনফারেন্স করেছি। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। এর আগে, মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার অন্যতম কারণ তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। বিদ্যমান আইনের কিছু ফাঁকফোকরও এর জন্য দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- জনসম্মুখে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেট খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, রতœগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরিদা জামান। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি, স্কুল-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তামাকবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশের এমপিরাই সবচেয়ে এগিয়ে’

আপডেট সময় : ০১:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে কাজ করছে। এ ধরনের কাজে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরাই সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আছে। সে আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে মাত্র ৩০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এটি সংশোধন করা জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সই করা একটি চিঠি দিয়েছি। এটা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। হাবিবে মিল্লাত বলেন, একটা সময় সংসদ সদস্যরা তামাকের পক্ষে চিঠি দিতেন। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তামাকের কর বাড়ানোর সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮৬ জন সংসদ সদস্যের সই করা চিঠি দিয়েছি। আমরা ৪০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে তামাকবিরোধী কনফারেন্স করেছি। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। এর আগে, মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশের মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার অন্যতম কারণ তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। বিদ্যমান আইনের কিছু ফাঁকফোকরও এর জন্য দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- জনসম্মুখে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেট খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, রতœগর্ভা ফরিদা জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফরিদা জামান। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি, স্কুল-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।