ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

তাপের পারদ চড়ছে, কয়েকদিন বিস্তারের আভাস

  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপপ্রবাহের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ, যা আরও ঘনীভূত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার নাগাদ নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ঘনীভূত হয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে সোমবারের হালনাগাদ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দুদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, যা আরও দু’তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুননেছা। দিনভর উত্তাপ আর বয়ে যাওয়া গরম হাওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব জায়গার মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্য জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ জেবুননেছা জানান, সোমবার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দিন-রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং বিরাজমান তাপপ্রবাহ বিস্তারের পাশাপাশি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ দিন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিং, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে সেটি মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। চলতি মৌসুমে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। গত এপ্রিল মাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহের দাপট ছিল। এর মধ্যে ৪ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১৩ থেকে ২২ এপ্রিল তীব্র এবং ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। মে মাসের শুরতে পাঁচ জেলায় দু’দিন তাপপ্রবাহের পর বুধবার থেকে তা প্রশমিত হয়। লঘুচাপের আগে আবার শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ জেবুননেছা জানান, লঘুচাপ তৈরির পর সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নি¤œচাপ, গভীর নি¤œচাপ ধাপ পেরিয়ে তবেই ঘূর্ণিঝড় হবে। নি¤œচাপে রূপ নেওয়ার গতি-প্রকৃতি নিয়ে পরবর্তী পর্যবেক্ষণ সময়ে সময়ে জানানো হবে।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে, এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। এবার লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম হবে মোখা (গড়পযধ), এটা ইয়েমেনের দেওয়া নাম।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তাপের পারদ চড়ছে, কয়েকদিন বিস্তারের আভাস

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপপ্রবাহের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ, যা আরও ঘনীভূত হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার নাগাদ নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ঘনীভূত হয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে সোমবারের হালনাগাদ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দুদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, যা আরও দু’তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুননেছা। দিনভর উত্তাপ আর বয়ে যাওয়া গরম হাওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব জায়গার মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্য জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ জেবুননেছা জানান, সোমবার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দিন-রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং বিরাজমান তাপপ্রবাহ বিস্তারের পাশাপাশি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ দিন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিং, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে সেটি মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। চলতি মৌসুমে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। গত এপ্রিল মাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহের দাপট ছিল। এর মধ্যে ৪ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এবং ১৩ থেকে ২২ এপ্রিল তীব্র এবং ২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। মে মাসের শুরতে পাঁচ জেলায় দু’দিন তাপপ্রবাহের পর বুধবার থেকে তা প্রশমিত হয়। লঘুচাপের আগে আবার শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ জেবুননেছা জানান, লঘুচাপ তৈরির পর সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নি¤œচাপ, গভীর নি¤œচাপ ধাপ পেরিয়ে তবেই ঘূর্ণিঝড় হবে। নি¤œচাপে রূপ নেওয়ার গতি-প্রকৃতি নিয়ে পরবর্তী পর্যবেক্ষণ সময়ে সময়ে জানানো হবে।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে, এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। এবার লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম হবে মোখা (গড়পযধ), এটা ইয়েমেনের দেওয়া নাম।