ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তাপমাত্রা বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : তাপমাত্রা বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার। আরও উষ্ণ হচ্ছে মেরু অঞ্চল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অ্যান্টার্কটিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর্জেন্টিনার একটি গবেষণাকেন্দ্রের প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধকল্পে বরফে মোড়া পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চল মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আর সেখানে এই হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে নানা দিক থেকে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের দিকটি বুঝতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের শেষ অস্ত্র এই মেরু অঞ্চলের পরিস্থিতি বুঝতেও সাহায্য করবে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ এই একই আবহাওয়া অফিস থেকে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এর আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। তবে বৃহত্তর অ্যান্টার্কটিকার ক্ষেত্রে ১৯৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি ১৯ দশমিক ৮৩ ডিগ্রি উষ্ণতা রেকর্ড করা হয়, যা এখনও অবধি সর্বকালীন রেকর্ড। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১৯ শতকের পর থেকে গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়েছে। যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বেড়েছে খরা, সমুদ্রের ঢেউ শক্তিশালী হয়েছে। ঝড় তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, অ্যান্টার্কটিকায় উষ্ণতা বাড়লে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক ও গ্রিনল্যান্ডে যে পরিমাণ বরফ গলবে তাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে অনেকটাই। আর তাতে বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

তাপমাত্রা বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : তাপমাত্রা বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার। আরও উষ্ণ হচ্ছে মেরু অঞ্চল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অ্যান্টার্কটিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর্জেন্টিনার একটি গবেষণাকেন্দ্রের প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধকল্পে বরফে মোড়া পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চল মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আর সেখানে এই হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে নানা দিক থেকে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের দিকটি বুঝতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের শেষ অস্ত্র এই মেরু অঞ্চলের পরিস্থিতি বুঝতেও সাহায্য করবে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ এই একই আবহাওয়া অফিস থেকে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এর আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। তবে বৃহত্তর অ্যান্টার্কটিকার ক্ষেত্রে ১৯৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি ১৯ দশমিক ৮৩ ডিগ্রি উষ্ণতা রেকর্ড করা হয়, যা এখনও অবধি সর্বকালীন রেকর্ড। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১৯ শতকের পর থেকে গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়েছে। যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বেড়েছে খরা, সমুদ্রের ঢেউ শক্তিশালী হয়েছে। ঝড় তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, অ্যান্টার্কটিকায় উষ্ণতা বাড়লে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক ও গ্রিনল্যান্ডে যে পরিমাণ বরফ গলবে তাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে অনেকটাই। আর তাতে বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না।