ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

তাপদাহে ইউরোপে প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২০২২ সালের গ্রীষ্মে কেবল তাপদাহজনিত কারণে ইউরোপে মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৭৯২ জন মানুষের। আন্তর্জাতিক জলবায়ু গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিয়েশন গ্রুপ (ডব্লিউডব্লিউএজি) তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মৃতদের সবাই ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও ব্রিটেনের। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা গেছেন ফ্রান্সে— ১০ হাজার ৪২০ জন। এছাড়া স্পেনে ৪ হাজার ৬৫৫ জন, জার্মনিতে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং ব্রিটেনে ৩ হাজার ২৭১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি গ্রীষ্মে ইউরোপজুড়ে যে দীর্ঘ তাপদাহ দেখা দিয়েছিল, তা কার্যত জলবায়ুর পরিবর্তন ছাড়া অসম্ভব।
এর আগে, ২০০৩ সালে তাপদাহ জনিত কারণে ইউরোপে মৃত্যু হয়েছিল ৭০ হাজার মানুষের। এই মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন ফ্রান্সের নাগরিক। মূলত তারপর থেকে তাপপ্রবাহের লক্ষণ দেখা গেলে পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা দেওয়ার নিয়ম চালু হয় ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে। ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (এসি) বসানোও শুরু হয় ২০০৩ সালের পর থেকে। বিশ বছর আগের সেই দুর্যোগ থেকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ কারণে চলতি বছরের তাপদাহে মৃতের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, কিন্তু তারপরও যতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ২০২২ সালে— তা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করেন ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিয়েশন গ্রুপের গবেষকরা। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্বাবদ্যিালয়ের জলবায়ু বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক এবং ডব্লিউডব্লিউএজির গবেষকদলের সদস্য ক্লোয়ে বিমিকম্বে রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমার জানামতে, ২০০৩ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহ চলেছে ২০২২ সালের গ্রীষ্মে।’ অসহনীয় গরম পড়ায় অনেকে ‘হিটস্ট্রোকে’ আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোক হলে মস্তিষ্ক, কিডনিসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া হিটস্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিকভাবে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়া (হার্ট অ্যাটাক) কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াও বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার।
গবেষণা প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, হিটস্ট্রোক এবং তার পরবর্তী বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণেই মারা গেছেন এই ২২ হাজার ৭৯২ জন মানুষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

তাপদাহে ইউরোপে প্রায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৫২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২০২২ সালের গ্রীষ্মে কেবল তাপদাহজনিত কারণে ইউরোপে মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৭৯২ জন মানুষের। আন্তর্জাতিক জলবায়ু গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিয়েশন গ্রুপ (ডব্লিউডব্লিউএজি) তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মৃতদের সবাই ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও ব্রিটেনের। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মারা গেছেন ফ্রান্সে— ১০ হাজার ৪২০ জন। এছাড়া স্পেনে ৪ হাজার ৬৫৫ জন, জার্মনিতে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং ব্রিটেনে ৩ হাজার ২৭১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি গ্রীষ্মে ইউরোপজুড়ে যে দীর্ঘ তাপদাহ দেখা দিয়েছিল, তা কার্যত জলবায়ুর পরিবর্তন ছাড়া অসম্ভব।
এর আগে, ২০০৩ সালে তাপদাহ জনিত কারণে ইউরোপে মৃত্যু হয়েছিল ৭০ হাজার মানুষের। এই মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন ফ্রান্সের নাগরিক। মূলত তারপর থেকে তাপপ্রবাহের লক্ষণ দেখা গেলে পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা দেওয়ার নিয়ম চালু হয় ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে। ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (এসি) বসানোও শুরু হয় ২০০৩ সালের পর থেকে। বিশ বছর আগের সেই দুর্যোগ থেকে ‘শিক্ষা নেওয়ার’ কারণে চলতি বছরের তাপদাহে মৃতের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম, কিন্তু তারপরও যতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ২০২২ সালে— তা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে মনে করেন ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিয়েশন গ্রুপের গবেষকরা। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্বাবদ্যিালয়ের জলবায়ু বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক এবং ডব্লিউডব্লিউএজির গবেষকদলের সদস্য ক্লোয়ে বিমিকম্বে রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমার জানামতে, ২০০৩ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহ চলেছে ২০২২ সালের গ্রীষ্মে।’ অসহনীয় গরম পড়ায় অনেকে ‘হিটস্ট্রোকে’ আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোক হলে মস্তিষ্ক, কিডনিসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া হিটস্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিকভাবে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়া (হার্ট অ্যাটাক) কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াও বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার।
গবেষণা প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, হিটস্ট্রোক এবং তার পরবর্তী বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণেই মারা গেছেন এই ২২ হাজার ৭৯২ জন মানুষ।