বিদেশের খবর ডেস্ক: চীনের সেনাবাহিনী তাইওয়ান প্রণালিতে দুটি মার্কিন নৌযানের চলাচলকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ’ বলে অভিহিত করেছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রালফ জনসন এবং সার্ভে জাহাজ ইউএসএনএস বাউডিচ প্রণালি দিয়ে চলাচল করলে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
পিএলএর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মুখপাত্র কর্নেল লি শি বলেছেন, আমাদের বাহিনী সর্বদা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মার্কিন নৌবাহিনী পরে দুটি জাহাজের প্রণালি দিয়ে চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং এটিকে ‘নিয়মিত’ অনুশীলন বলে উল্লেখ করেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের মুখপাত্র নেভি কমান্ডার ম্যাথু কোমার বলেন, এই চলাচল তাইওয়ান প্রণালির একটি করিডোর দিয়ে হয়েছে, যা কোনও উপকূলীয় রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সীমানার বাইরে। এই করিডোরের মধ্যে সব দেশই সমুদ্রপথে চলাচল, উড্ডয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ সমুদ্র ব্যবহারের স্বাধীনতা ভোগ করে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, তারা মার্কিন নৌ-টহলের গতিবিধি নজরদারি করেছে এবং এটি স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
১৮০ কিলোমিটার চওড়া তাইওয়ান প্রণালিতে মার্কিন নৌবাহিনী নিয়মিতভাবে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ অনুশীলন পরিচালনা করে। তবে গত সপ্তাহের এই টহল ছিল জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম।
চীন তাইওয়ান প্রণালিকে তাদের আঞ্চলিক জলসীমা বলে দাবি করে, যদিও জাতিসংঘের সমুদ্র আইন অনুযায়ী উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল (২২ কিলোমিটার) পর্যন্ত ‘আঞ্চলিক জলসীমা’ হিসেবে বিবেচিত হয়। মার্কিন মিত্র দেশগুলোও মাঝে মাঝে তাইওয়ান প্রণালিতে অনুরূপ নৌ-অনুশীলনে অংশ নেয়।