ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

তাইওয়ানকে ১০ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

  • আপডেট সময় : ০১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের কাছে আনুমানিক ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৩১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, তাইওয়ানকে সরবরাহের জন্য সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জামের তালিকায় ৬০টি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্যাকেজটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য তালিকায় ৩৫৫ মিলিয়ন ডলারের ৬০টি এজিএম-৮৪এল হারপুন ব্লক ২ ক্ষেপণাস্ত্র, ৮৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের ১০০টি এআইএম-৯এক্স ব্লক ২ সাইডউইন্ডার ট্যাকটিক্যাল এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং ৬৫৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের একটি নজরদারি রাডার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন জন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন। এমন সময়ে এ খবর সামনে এলো যার দুই দিন আগেই তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎপরতা নজরদারির ঘোষণা দেয় চীন। রবিবার চীনা সামরিক বাহিনীর তরফে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা তাইওয়ান প্রণালীতে উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। যে কোনও উসকানি পরাস্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং। চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার (২৮ আগস্ট) তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমা দিয়ে যাত্রা করে দুইটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল রুটিন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমায় প্রবেশ করেছে। প্রণালী দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দেয় বেইজিং। এখন তাইওয়ানকে ১০ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের মার্কিন পরিকল্পনা স্বভাবতই চীনকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তাইওয়ানকে ১০ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

আপডেট সময় : ০১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানের কাছে আনুমানিক ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৩১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, তাইওয়ানকে সরবরাহের জন্য সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জামের তালিকায় ৬০টি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্যাকেজটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য তালিকায় ৩৫৫ মিলিয়ন ডলারের ৬০টি এজিএম-৮৪এল হারপুন ব্লক ২ ক্ষেপণাস্ত্র, ৮৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের ১০০টি এআইএম-৯এক্স ব্লক ২ সাইডউইন্ডার ট্যাকটিক্যাল এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং ৬৫৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের একটি নজরদারি রাডার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন জন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন। এমন সময়ে এ খবর সামনে এলো যার দুই দিন আগেই তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎপরতা নজরদারির ঘোষণা দেয় চীন। রবিবার চীনা সামরিক বাহিনীর তরফে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা তাইওয়ান প্রণালীতে উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। যে কোনও উসকানি পরাস্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং। চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার (২৮ আগস্ট) তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমা দিয়ে যাত্রা করে দুইটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল রুটিন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমায় প্রবেশ করেছে। প্রণালী দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দেয় বেইজিং। এখন তাইওয়ানকে ১০ হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের মার্কিন পরিকল্পনা স্বভাবতই চীনকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।