বিদেশের খবর ডেস্ক : তাইওয়ানের কাছাকাছি সম্ভবত একটি সামরিক মহড়া শুরু করতে পারে চীন। তাইপের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে-এর আসন্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় সফর ও মার্কিন ট্রানজিটকে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে এই মহড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাইওয়ান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে তাইপের তিন কূটনৈতিক মিত্র দেশে শনিবার সফর শুরু করবেন লাই। রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, যাত্রাপথে ওয়াই ও মার্কিন অঞ্চল গুয়ামে থামবেন লাই। মার্কিন নির্বাচনের পরপরই মার্কিন অঞ্চলে তার ভ্রমণটিকে একটি সংবেদনশীল পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন অনেকে। এদিকে, স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেশটি। তাইপে নেতা লাইকে তীব্র অপছন্দ করে বেইজিং। তাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলেও অভিহিত করে। সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রে থামার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও তথ্য নিশ্চিত করেনি লাই এর কার্যালয়। তবে তিনি সফরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরের সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো আগে রয়টার্সকে এমনটিই বলেছিল। এই অঞ্চলের চার কর্মকর্তা বলেন, লাই এর সফরের কাছাকাছি সময়ে বা এর পরেই সামরিক কূটকৌশল পরিচালনা করতে পারে বেইজিং, যা ৬ ডিসেম্বর শেষ হবে। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছার কথা জানিয়েছেন তারা। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স, যদিও চীনা সরকার লাইকে ট্রানজিটের অনুমতি না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে। চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া বুধবার বলেছেন, লাইয়ের ট্রানজিট স্টপগুলো ‘প্রয়োজনীয়ভাবে উস্কানিমূলক কাজ যা এক-চীন নীতি লঙ্ঘন করে।’ তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও হোয়াইট হাউজকে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে কোনও জবাব দেয়নি তারা। তাইপেইকে চাপ দেওয়ার জন্য চীন ইতোমধ্যে তাইওয়ানের আশেপাশে দুই দফা বড় মহড়া করেছে, যার একটি হয়েছে মে মাসে ও অপরটি অক্টোবরে।