ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: শুভসহ তিনজন রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে এক তরুণীকে চার দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন- ওই তরুণীর প্রেমিক মনির হোসেন শুভ, বিল্লাল ওরফে আল আমিন এবং সুজন ওরফে সবুজ।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে ডালিয়া আক্তার দিনা নামে এক নারীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিন চার আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তিন আসামি দুই দিনের রিমান্ড ও এক আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা ১৭ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ওই তরুণীর বাবা হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় বসবাস করেন। ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ে ও শুভর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। শুভ তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। প্রায় এক মাস আগে ওই তরুণী ও মাকে রেখে তার বাবা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী যান। চার দিন আগে ওই তরুণী গ্রামের বাড়ি যায়। তখন শুভ ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে ফোনে জানায় এবং তাকে ঢাকায় আসতে বলে। ভাড়াবাবদ ৬৫০ টাকাও পাঠায়।
শুভর কথায় আশ্বস্ত হয়ে ওই তরুণী ১১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী থেকে রওনা হয়ে পরদিন ঢাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে শুভ ওই তরুণীকে নিয়ে লালবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় দিনার বাসায় নিয়ে যায়। দিনার সহায়তায় শুভ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভ ওই তরুণীকে বিল্লালের বাসা মুগদায় নিয়ে যায়। সেখানে শুভর উপস্থিতিতে বিল্লাল ও সুজন তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিল্লাল ওই তরুণীকে রিকশায় করে টিএসসি এলাকায় নিয়ে আসে। তাকে একা রেখে চলে যায় বিল্লাল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: শুভসহ তিনজন রিমান্ডে

আপডেট সময় : ১০:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে এক তরুণীকে চার দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন- ওই তরুণীর প্রেমিক মনির হোসেন শুভ, বিল্লাল ওরফে আল আমিন এবং সুজন ওরফে সবুজ।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে ডালিয়া আক্তার দিনা নামে এক নারীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিন চার আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তিন আসামি দুই দিনের রিমান্ড ও এক আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা ১৭ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ওই তরুণীর বাবা হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় বসবাস করেন। ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ে ও শুভর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। শুভ তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। প্রায় এক মাস আগে ওই তরুণী ও মাকে রেখে তার বাবা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী যান। চার দিন আগে ওই তরুণী গ্রামের বাড়ি যায়। তখন শুভ ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে ফোনে জানায় এবং তাকে ঢাকায় আসতে বলে। ভাড়াবাবদ ৬৫০ টাকাও পাঠায়।
শুভর কথায় আশ্বস্ত হয়ে ওই তরুণী ১১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী থেকে রওনা হয়ে পরদিন ঢাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে শুভ ওই তরুণীকে নিয়ে লালবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় দিনার বাসায় নিয়ে যায়। দিনার সহায়তায় শুভ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভ ওই তরুণীকে বিল্লালের বাসা মুগদায় নিয়ে যায়। সেখানে শুভর উপস্থিতিতে বিল্লাল ও সুজন তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিল্লাল ওই তরুণীকে রিকশায় করে টিএসসি এলাকায় নিয়ে আসে। তাকে একা রেখে চলে যায় বিল্লাল।