ক্রীড়া প্রতিবেদক : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে কি সত্যিই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে? নাকি বিশ্বকাপের আগে পরীক্ষানিরীক্ষা তথা তরুণদের যাচাই বাছাই করা এবং তাদের দিয়েই বিশ্বকাপে দল সাজানোর চিন্তাভাবনা?- এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উকি ঝুকি দিচ্ছে। এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল টিম বাংলাদেশের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে। বিসিবির অন্যতম শীর্ষকর্তা ও জাতীয় দলের থিংক ট্যাঙ্ক সুজনের জবাব, ‘আসলে এটা বলা যায় না। আমরাতো দল ঘোষণার দিন জানিয়ে দিয়েছি মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে ভাবার কোনো কারণ নেই আমরা তাদের বাইরে রেখে তরুণদের দিয়ে কোনোরকম পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে যাচ্ছি। বিশ্বকাপের এত আগে সেটা করা, ভাবা বা বলাও ঠিক নয়।’ তাই যদি হয়, তাহলে কি শুধুই তাদের বিশ্রাম দেওয়া? সুজনের জবাব, ‘নাহ! তাও না। আসলে আমরা কোনো পরীক্ষা না চালিয়ে কিছু তরুণকে পরখ করে নিতে চাই। অনেকে মনে করেন, অফফর্মের প্লেয়ারদের ফর্মে ফেরাতে জিম্বাবুয়ে হতে পারে সম্ভাব্য সেরা পছন্দ। আমরা মনে করি তরুণদের যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রেও জিম্বাবুয়ে হতে পারে শ্রেয়তর বিকল্প। তাই আমরা তাদের দেখতেই জিম্বাবুয়ে ট্যুরকে বেছে নিয়েছি।’ মাঝে অসুস্থতার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়া হয়নি। কাতার গিয়ে অসুস্থবোধ করায় দেশে ফিরে আসেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিছু দিন বিশ্রামে কাটিয়ে এবার জিম্বাবুয়ে সফরে দলের অভিভাবক হয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক।
বিসিবির এ করিৎকর্মা পরিচালককের কথায় পরিষ্কার, টিম ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছে তিন সিনিয়র সাকিব, রিয়াদ ও মুশফিকের অনুপস্থিতিতে তরুণরা আসলে কী করেন?- সেটি দেখে নিতে। তাই তো মুখে এমন কথা, ‘আপনি সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদকে দলে রেখে তরুণদের পারফরমেন্স যাচাই করতে পারবেন না। কারণ তরুণরা তখন নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ কম পাবে। ঐ তিন অপরিহার্য্য সদস্যরা একাদশের বাইরে থাকলে বাকিদের নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ ও ক্ষেত্র বাড়বে।’ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি চেয়ারম্যান আরও যোগ করেন, ‘আমরা ক্রিকেটের এ ফরম্যাটে জিতি না। বেশিরভাগই হারি। তাই আমাদের চিন্তাভাবনা হলো ছেলেরা খেলুক। হার-জিত মাঠে হবে। আমরা দেখতে পারবো, তরুণদের সামর্থ্য আসলে কী? তারা কি পারে, কতটা পারে?- তাও জানা হবে। ‘যদি তরুণরা উৎরে যায়, তাহলে একটা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এটা সত্য যে আমাদের এখন সামনে আগানো ছাড়া পথ নেই। আমরা এখনও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১০-১১ নম্বরে আছি। এত নিচে থাকলে তো চলবে না। এখান থেকে সামনে আগানোর চিন্তা করতে হবে। সে উত্তরণে তরুণ ও নবীনদের কার্যকর ভূমিকা জরুরী। তরুণদের সামনে এগিয়ে আসার পথটা আমাদেরই করে দিতে হবে।’ ‘আমরা অনেক সময় অনেক কথাই বলি। পরিসংখ্যান না জেনে তথ্য উপাত্ত না ঘেটে বলে দেই। কেউ কেউ যেমন নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাপারে কথা বলি। কিন্তু মাথায় আনি না শান্ত আমাদের একমাত্র ব্যাটার, যার বিপিএলে আছে দুইটি সেঞ্চুরি। আমি জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবিনা। চাই দল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে।’
তরুণদের পরখ করতে জিম্বাবুয়েই সেরা পছন্দ : সুজন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ