ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড

তদন্তে ‘শেষবারের মতো’ ছয় মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এটিকে ‘শেষবারের মতো’ বর্ধিত সময় বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুশফিকুর রহিম প্রমুখ। অন‍্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ ও শিশির মনির।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে ৬ মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশের পর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম।

মামলার আসামিরা হলেন– রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১২১ বারের মতো পিছিয়েছে সাগর-রুনির হত্যা মামলার প্রতিবেদন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।

এসি/আপ্র/২৩/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড

তদন্তে ‘শেষবারের মতো’ ছয় মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এটিকে ‘শেষবারের মতো’ বর্ধিত সময় বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুশফিকুর রহিম প্রমুখ। অন‍্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ ও শিশির মনির।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে ৬ মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আদালতের আদেশের পর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম।

মামলার আসামিরা হলেন– রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১২১ বারের মতো পিছিয়েছে সাগর-রুনির হত্যা মামলার প্রতিবেদন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।

এসি/আপ্র/২৩/১০/২০২৫