ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

তদন্তের মুখে স্যান্ডার্সের উদযাপন

  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : কখনও বিচিত্র ধরনের মুখোশ পরে, কখনও নানা ঢংয়ের উদযাপনে আলোচনায় এসেছেন র‌্যাভেন স্যান্ডার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এই শট পুটার টোকিও অলিম্পিকসেও পদক জয়ের পাশাপাশি আলাদা করে শিরোনামে এলেন তার উদযাপনের কারণে। টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গত রোববার শট পুটে চীনের গং লিজিয়াওয়ের কাছে হেরে রুপা পান স্যান্ডার্স। বিজয়ীদের পোডিয়ামে গিয়ে দুই বাহু উপরে তুলে ক্রস চিহ্ন তৈরি করে উদযাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ২৫ বছর বয়সী অ্যাথলেট। উদযাপনের এই ভঙ্গি নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানানোর চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। আইওসি গত মাসে অ্যাথলেটদের যে কোনো ধরনের প্রতিবাদের ক্ষেত্রে আগের নিয়মে কিছুটা শিথিলতা এনেছিল। অন্য প্রতিযোগীদেরকে অসম্মান এবং কোনো সমস্যা না করে মাঠে প্রতিবাদ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে পদকের মঞ্চে কোনোরকম প্রতিবাদের অঙ্গভঙ্গির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল আছে এবং তার লংঘন হতে পারে স্যান্ডার্সের এই উদযাপন। বিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স। বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স, যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক কমিটি, প্যারালিম্পিক কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে বলে সোমবার জানিয়েছেন আইওসির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস।
রুপা জয়ের পর রাতে টুইটারে আনন্দাশ্রুর ইমোজি দিয়ে স্যান্ডার্স লিখেন, “তাদের চেষ্টা করতে দাও এবং এই পদকটা নিয়ে নাও। আমি সীমান্ত দিয়ে ছুটছি, যদিও সাঁতার জানি না।” দাগ্রিও নামের একটি ওয়েবসাইট তাদের প্রতিবেদনে স্যান্ডার্সের কথা তুলে ধরেছে। সেখানেও উঠে এসেছে নিপীড়িত মানুষের প্রসঙ্গ। “এটা সেই বিন্দু, যেখানে সমস্ত নির্যাতিত মানুষ মিলিত হয়।” আফ্রিকান আমেরিকান, সারা বিশ্বের কালো মানুষ এবং যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সংগ্রাম করছে- পদক জয়ের পর স্যান্ডার্স তাদের অনুপ্রাণিত করার কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ জানান। টোকিওর আসরে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ফুটবল দল তাদের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে তুলে ধরেছিল আদিবাসীদের পতাকা। আরও কয়েকটি মহিলা দল হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মে মাসে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে এক পুলিশ হাঁটু গেড়ে বসে থাকলে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ক্রীড়াঙ্গণে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানানো চলছে। অলিম্পিকসের এবারের আসরে কোস্টা রিকান জিমন্যাস্ট লুসিয়ানা আভারাদোকে জাতিগত সমতার পক্ষে মুষ্টি উঁচিয়ে সমর্থন করতে দেখা গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তদন্তের মুখে স্যান্ডার্সের উদযাপন

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : কখনও বিচিত্র ধরনের মুখোশ পরে, কখনও নানা ঢংয়ের উদযাপনে আলোচনায় এসেছেন র‌্যাভেন স্যান্ডার্স। যুক্তরাষ্ট্রের এই শট পুটার টোকিও অলিম্পিকসেও পদক জয়ের পাশাপাশি আলাদা করে শিরোনামে এলেন তার উদযাপনের কারণে। টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গত রোববার শট পুটে চীনের গং লিজিয়াওয়ের কাছে হেরে রুপা পান স্যান্ডার্স। বিজয়ীদের পোডিয়ামে গিয়ে দুই বাহু উপরে তুলে ক্রস চিহ্ন তৈরি করে উদযাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ২৫ বছর বয়সী অ্যাথলেট। উদযাপনের এই ভঙ্গি নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানানোর চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। আইওসি গত মাসে অ্যাথলেটদের যে কোনো ধরনের প্রতিবাদের ক্ষেত্রে আগের নিয়মে কিছুটা শিথিলতা এনেছিল। অন্য প্রতিযোগীদেরকে অসম্মান এবং কোনো সমস্যা না করে মাঠে প্রতিবাদ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে পদকের মঞ্চে কোনোরকম প্রতিবাদের অঙ্গভঙ্গির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল আছে এবং তার লংঘন হতে পারে স্যান্ডার্সের এই উদযাপন। বিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স। বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স, যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক কমিটি, প্যারালিম্পিক কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে বলে সোমবার জানিয়েছেন আইওসির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস।
রুপা জয়ের পর রাতে টুইটারে আনন্দাশ্রুর ইমোজি দিয়ে স্যান্ডার্স লিখেন, “তাদের চেষ্টা করতে দাও এবং এই পদকটা নিয়ে নাও। আমি সীমান্ত দিয়ে ছুটছি, যদিও সাঁতার জানি না।” দাগ্রিও নামের একটি ওয়েবসাইট তাদের প্রতিবেদনে স্যান্ডার্সের কথা তুলে ধরেছে। সেখানেও উঠে এসেছে নিপীড়িত মানুষের প্রসঙ্গ। “এটা সেই বিন্দু, যেখানে সমস্ত নির্যাতিত মানুষ মিলিত হয়।” আফ্রিকান আমেরিকান, সারা বিশ্বের কালো মানুষ এবং যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সংগ্রাম করছে- পদক জয়ের পর স্যান্ডার্স তাদের অনুপ্রাণিত করার কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ জানান। টোকিওর আসরে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ফুটবল দল তাদের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে তুলে ধরেছিল আদিবাসীদের পতাকা। আরও কয়েকটি মহিলা দল হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মে মাসে জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে এক পুলিশ হাঁটু গেড়ে বসে থাকলে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ক্রীড়াঙ্গণে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানানো চলছে। অলিম্পিকসের এবারের আসরে কোস্টা রিকান জিমন্যাস্ট লুসিয়ানা আভারাদোকে জাতিগত সমতার পক্ষে মুষ্টি উঁচিয়ে সমর্থন করতে দেখা গেছে।