ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

তথ্য না দিতে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নোটিশ!

  • আপডেট সময় : ১২:০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ওষুধসহ নানা সংকট নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার সাংবাদিকদের কোনো প্রকার তথ্য না দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নোটিশ জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নোটিশ জারি করেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। নোটিশের অনুলিপি হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ ১৩টি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এরআগে ১০ ফেব্রুয়ারি ‘প্রকট ওষুধ সংকটে ওসমানী হাসপাতাল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। প্রতিবেদনে ওষুধ সংকট ছাড়াও ফিল্মের অভাবে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এছাড়াও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, নরমাল স্যালাইনসহ কোনো ওষুধেরই সরবরাহ নেই বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন বিষয়ে তদারকিসহ হাসপাতালের দুর্নীতি রুখতে কঠোর হন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। এই অবস্থায় সাংবাদিকদের কোনো প্রকার তথ্য না দিতে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি নোটিশ জারি করেছেন। নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে বিভিন্ন তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ করে সাংবাদিকদের নিকট, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হাসপাতাল সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বাইরে কোথাও প্রকাশ না করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ নোটিশের অনুলিপি তিনি হাসপাতালের ১৩টি দপ্তরকে পাঠিয়েছেন। হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের স্টাফরা ভুল ও অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছে। নিয়ম হলো যেকোনো অফিস প্রধানের অনুমতি নিয়ে অ্যাসাইন লোকের তথ্য দেওয়ার কথা। এটাই আমাদের নির্দেশনা। কিন্তু দেখা গেছে টেকনোলজিস্ট তথ্য দেয়, টিকিট কাউন্টারে গেলে কাউন্টারের লোকজনও তথ্য দেয়। তাদের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যার কারণে তথ্যগত বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, সিটি স্ক্যান থেকে বলছে একটি পরীক্ষায় ৫টি ফিল্ম লাগে। কিন্তু এটা সঠিক না। তাদের এরকম অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কোনো তথ্য গোপন রাখার জন্য এ নোটিশ দেওয়া হয়নি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

তথ্য না দিতে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নোটিশ!

আপডেট সময় : ১২:০১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ওষুধসহ নানা সংকট নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার সাংবাদিকদের কোনো প্রকার তথ্য না দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নোটিশ জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নোটিশ জারি করেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। নোটিশের অনুলিপি হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ ১৩টি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এরআগে ১০ ফেব্রুয়ারি ‘প্রকট ওষুধ সংকটে ওসমানী হাসপাতাল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। প্রতিবেদনে ওষুধ সংকট ছাড়াও ফিল্মের অভাবে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এছাড়াও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যালাইন সেট, নরমাল স্যালাইনসহ কোনো ওষুধেরই সরবরাহ নেই বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন বিষয়ে তদারকিসহ হাসপাতালের দুর্নীতি রুখতে কঠোর হন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া। এই অবস্থায় সাংবাদিকদের কোনো প্রকার তথ্য না দিতে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি নোটিশ জারি করেছেন। নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে বিভিন্ন তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ করে সাংবাদিকদের নিকট, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হাসপাতাল সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বাইরে কোথাও প্রকাশ না করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ নোটিশের অনুলিপি তিনি হাসপাতালের ১৩টি দপ্তরকে পাঠিয়েছেন। হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের স্টাফরা ভুল ও অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছে। নিয়ম হলো যেকোনো অফিস প্রধানের অনুমতি নিয়ে অ্যাসাইন লোকের তথ্য দেওয়ার কথা। এটাই আমাদের নির্দেশনা। কিন্তু দেখা গেছে টেকনোলজিস্ট তথ্য দেয়, টিকিট কাউন্টারে গেলে কাউন্টারের লোকজনও তথ্য দেয়। তাদের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। যার কারণে তথ্যগত বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, সিটি স্ক্যান থেকে বলছে একটি পরীক্ষায় ৫টি ফিল্ম লাগে। কিন্তু এটা সঠিক না। তাদের এরকম অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কোনো তথ্য গোপন রাখার জন্য এ নোটিশ দেওয়া হয়নি।