ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা উন্নয়নে সরকারের দেওয়া টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তিতে দিনদিন যত উৎকর্ষ সাধন হয়েছে ততই বাংলা ভাষা ‘প্যারাময়’ হয়েছে। আমরা আগে বলতাম কষ্ট পাচ্ছি, যন্ত্রণা হচ্ছে। শ্রুতিমধুর সেসব শব্দ সামাজিক মাধ্যমে বদলে হয়েছে ‘প্যারায়’ আছি। এভাবেই আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা রং-রূপ হারাচ্ছে।
গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমি বিচারক থাকা অবস্থায় বাংলায় রায় দিলে আরও ভাল হতো। আমরা বিদেশি জাজমেন্ট দেখে, পড়াশোনা করে, গবেষণা করে এ দেশে রায় দেই। কিন্তু বাংলায় সেটা লেখা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। যদিও নি¤œ আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উচ্চ আদালতেও অনেক রায় বাংলায় হচ্ছে। কোনও কোনও বিচারক নিয়মিত বাংলায় রায় দিচ্ছেন। আগামীতে উচ্চ আদালতেও সব বিচারক বাংলায় রায় দেবেন বলে আমি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, টিভি বিজ্ঞাপনে অনেক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। যেমন একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনে বলছে, চুল শাইনিং করে। এটা না বলে চুল উজ্জ্বল করে বলা যেতো। এতে মানুষের কাছে আরও বোধগম্য হতো এবং গ্রহণযোগ্যতা পেতো। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। কিন্তু প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে তা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল। সে প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন সমাজবিশ্লেষক, সাহিত্য সমালোচক, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, জাতীয় জাদুঘরের কিউরেটর শিহাব শাহরিয়ার, ফাইবার অ্যাট হোমের গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান আব্বাস ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আলোচকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা উন্নয়নে সরকারের দেওয়া টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তিতে দিনদিন যত উৎকর্ষ সাধন হয়েছে ততই বাংলা ভাষা ‘প্যারাময়’ হয়েছে। আমরা আগে বলতাম কষ্ট পাচ্ছি, যন্ত্রণা হচ্ছে। শ্রুতিমধুর সেসব শব্দ সামাজিক মাধ্যমে বদলে হয়েছে ‘প্যারায়’ আছি। এভাবেই আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা রং-রূপ হারাচ্ছে।
গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমি বিচারক থাকা অবস্থায় বাংলায় রায় দিলে আরও ভাল হতো। আমরা বিদেশি জাজমেন্ট দেখে, পড়াশোনা করে, গবেষণা করে এ দেশে রায় দেই। কিন্তু বাংলায় সেটা লেখা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। যদিও নি¤œ আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উচ্চ আদালতেও অনেক রায় বাংলায় হচ্ছে। কোনও কোনও বিচারক নিয়মিত বাংলায় রায় দিচ্ছেন। আগামীতে উচ্চ আদালতেও সব বিচারক বাংলায় রায় দেবেন বলে আমি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, টিভি বিজ্ঞাপনে অনেক ইংরেজি শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। যেমন একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনে বলছে, চুল শাইনিং করে। এটা না বলে চুল উজ্জ্বল করে বলা যেতো। এতে মানুষের কাছে আরও বোধগম্য হতো এবং গ্রহণযোগ্যতা পেতো। অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। কিন্তু প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে তা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল। সে প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন সমাজবিশ্লেষক, সাহিত্য সমালোচক, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, জাতীয় জাদুঘরের কিউরেটর শিহাব শাহরিয়ার, ফাইবার অ্যাট হোমের গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান আব্বাস ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আলোচকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি