নিজস্ব প্রতিবেদক : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের তীব্র আন্দোলনের কারণে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াও মুক্তি পেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এ রক্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস জানে না। এ রক্ত সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি। তিনি কারাগারে থেকেই যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন আর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগকে ভাঙন থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের কারণেই পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে হয়। আর আমাদের আন্দোলনের কারণে তখন খালেদা জিয়াও মুক্তি পেয়েছিলো। বিএনপি তখন কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে দলের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিজয়ী হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। খালি পায়ে হাঁটা মানুষ দেখা যায় না। এগুলো কোনো ম্যাজিক নয়এ এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।’
বিএনপির আমলে বাংলাদেশের রিজার্ভ মাত্র সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার ছিলো জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুন্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় রিজার্ভ পেয়েছিলাম ৫-৬ বিলিয়ন ডলারের মত। সেই অবস্থা থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উঠেছিলো। আর এখন বাংলাদেশের বিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ৬ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ আমাদের আছে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি দেশের মঙ্গল চায় না। তাদের কাজ হচ্ছে রাতের বেলা বিদেশি দূতাবাসে যাওয়া এবং লাল-নীল-রঙিন পানি খাওয়া। এটাই তাদের রাজনীতি। তারা ঘরে পার্টি করে, বাইরেও পার্টি করে।‘
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিদেশিদের কাছে এখন ধরনা দিচ্ছে। তারা নিজেদের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়। বিএনপিকে বলব, রাত-বিরাতে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি বাদ দেন। জনগণের কাছে যান। কাজে দেবে।’
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তত্ত্বাবধায়কের আমলে আ.লীগের আন্দোলনে খালেদা জিয়াও মুক্তি পান: তথ্যমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ