ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির বহিষ্কার দাবি

  • আপডেট সময় : ১০:০২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।
গত সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে রহমত উল্লাহর কুশপুতুল পুড়িয়ে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মানববন্ধন থেকে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রোববার টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেখানে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরে ক্ষমা চান তিনি।
বিকালে মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। সেই জাতির পিতার খুনী মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ধৃষ্টতা দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। এই শিক্ষক কেন এখনও বাহিরে, এতক্ষণে তার স্থান কারাগারে হওয়া উচিত।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের অভিযোগ এর আগেও আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কর্মকা-ে অধ্যাপক রহমত বাধা প্রদান করেছেন।
“হলের প্রভোস্ট থাকা অবস্থায় এই শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ করেছিলেন,” যোগ করেন তিনি।
তার দাবি, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওসহ অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর রাশা, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির বহিষ্কার দাবি

আপডেট সময় : ১০:০২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।
গত সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে রহমত উল্লাহর কুশপুতুল পুড়িয়ে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মানববন্ধন থেকে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রোববার টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেখানে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরে ক্ষমা চান তিনি।
বিকালে মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। সেই জাতির পিতার খুনী মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ধৃষ্টতা দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন। এই শিক্ষক কেন এখনও বাহিরে, এতক্ষণে তার স্থান কারাগারে হওয়া উচিত।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের অভিযোগ এর আগেও আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কর্মকা-ে অধ্যাপক রহমত বাধা প্রদান করেছেন।
“হলের প্রভোস্ট থাকা অবস্থায় এই শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ করেছিলেন,” যোগ করেন তিনি।
তার দাবি, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাওসহ অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর রাশা, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।