ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ঢাবির সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য খুলল হল

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও ঝঙচ (ঝঃধহফধৎফ ঙঢ়বৎধঃরহম চৎড়পবফঁৎব) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ হলে উঠছেন।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এবং রোকেয়া হল পরিদর্শন করেন।
হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও নীতিমালা মানার ব্যাপারে আমাদের শিক্ষার্থীরা সবসময় সচেতন। দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি ও হল কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান।
এসময় ভিসি বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই করোনা টিকার আওতায় এসেছে। শতভাগ শিক্ষার্থী আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে টিকার আওতায় আসবে বলে আশা করছি।
হল পরিদর্শনকালে শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রোববার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়া হলেও ছেলেদের স্যার এ এফ রহমান হল এবং বিজয় একাত্তর হল দুটিতে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অন্যান্য হলের মতো এই দুটি হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা টিকা কার্ড প্রদর্শন করে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ১৭ অক্টোবর হলের সিট বরাদ্দ দিয়ে তাদের হলে তোলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। তবে আগেভাগে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সিদ্ধান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের যেহেতু হলে তুলবেই না, সেহেতু বিষয়টি আমাদের আগে জানিয়ে দিলেই আমরা হলে উঠার জন্য গ্রামের বাসা থেকে আসতাম না। হলে উঠতে না পারলে এখন আমরা থাকব কোথায়?’
স্যার এ এফ রহমান হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছে রোববার সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। শুধু গণরুমের শিক্ষার্থীদের তোলা হবে না, সে বিষয় আগেই জানিয়ে দিতে পারতো। কেননা প্রভোস্ট স্যার তো জানেন যে, প্রথম বর্ষের আমরা যারা আছি তারা গণরুমে থাকি।’
গণরুমের শিক্ষার্থীদের হলে না তোলার বিষয়ে এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আমাদের হলে কোনো গণরুম রাখব না। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের তুলতে পারছি না। সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেলে তাদের হলে তুলবো।’
বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘অনাবাসিক ওই শিক্ষার্থীদের ১৭ তারিখের আগে রুম বরাদ্দ দিয়ে হলে তোলা হবে। তাছাড়া তারা আমাদের আবাসিক শিক্ষার্থী না যে তাদের আমরা আগে থেকে ইনফর্ম করতে পারব।’ তবে এই বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেওয়া থাকলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবির সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য খুলল হল

আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও ঝঙচ (ঝঃধহফধৎফ ঙঢ়বৎধঃরহম চৎড়পবফঁৎব) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ হলে উঠছেন।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল এবং রোকেয়া হল পরিদর্শন করেন।
হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও নীতিমালা মানার ব্যাপারে আমাদের শিক্ষার্থীরা সবসময় সচেতন। দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি ও হল কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান।
এসময় ভিসি বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই করোনা টিকার আওতায় এসেছে। শতভাগ শিক্ষার্থী আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে টিকার আওতায় আসবে বলে আশা করছি।
হল পরিদর্শনকালে শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রোববার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়া হলেও ছেলেদের স্যার এ এফ রহমান হল এবং বিজয় একাত্তর হল দুটিতে গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অন্যান্য হলের মতো এই দুটি হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা টিকা কার্ড প্রদর্শন করে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ১৭ অক্টোবর হলের সিট বরাদ্দ দিয়ে তাদের হলে তোলার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। তবে আগেভাগে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সিদ্ধান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের যেহেতু হলে তুলবেই না, সেহেতু বিষয়টি আমাদের আগে জানিয়ে দিলেই আমরা হলে উঠার জন্য গ্রামের বাসা থেকে আসতাম না। হলে উঠতে না পারলে এখন আমরা থাকব কোথায়?’
স্যার এ এফ রহমান হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়েছে রোববার সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। শুধু গণরুমের শিক্ষার্থীদের তোলা হবে না, সে বিষয় আগেই জানিয়ে দিতে পারতো। কেননা প্রভোস্ট স্যার তো জানেন যে, প্রথম বর্ষের আমরা যারা আছি তারা গণরুমে থাকি।’
গণরুমের শিক্ষার্থীদের হলে না তোলার বিষয়ে এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আমাদের হলে কোনো গণরুম রাখব না। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের তুলতে পারছি না। সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেলে তাদের হলে তুলবো।’
বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘অনাবাসিক ওই শিক্ষার্থীদের ১৭ তারিখের আগে রুম বরাদ্দ দিয়ে হলে তোলা হবে। তাছাড়া তারা আমাদের আবাসিক শিক্ষার্থী না যে তাদের আমরা আগে থেকে ইনফর্ম করতে পারব।’ তবে এই বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেওয়া থাকলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।