ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাবির গবেষণা-প্রকাশনা মেলা প্রতিবছর করার পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবছর গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনের গবেষণা-প্রকাশনা মেলার সমাপনী দিনে রোববার বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করব, যাতে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘ক্যালেন্ডার ইভেন্টে’ পরিণত হয়। প্রতি বছরই কোনো না কোনো ইনস্টিটিউট বা অনুষদ এ কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করবে। “এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং বাৎসরিক কর্মসূচির আওতাভুক্ত করলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার একটি সংস্কৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে এসে প্রথমবারের মত ‘গবেষণা-প্রকাশনা মেলা’ আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার শুরু এ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, গবেষণাকেন্দ্র ও বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠান ১০০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নে তাদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম শক্তিশালী কামান তৈরি হয় এ ভারতবর্ষে। চীন থেকে গান পাউডার এনে, ইউরোপ থেকে লোহা-লঙ্কর ও ইস্পাত এনে। সে সময় বলা হয়েছিল, এটা তৈরি করো, না হয় গর্দান যাবে। আমাদের এই মেলাটা কিন্তু সেটাই। এটার ফরমেট খালি আলাদা।
“আমরা এই মেলা আয়োজন করেছি এ কারণে যে, আপনারা গবেষণা ও প্রকাশনায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আধুনিক কালে তো বলতে পারব না যে, গর্দান যাবে। আমাদের সম্মান যাতে বাড়ে, আপনারা সেই পথে এগিয়ে যাবেন।” জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দেশ গড়ার ক্ষেত্রে এধরনের গবেষণা মেলা উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ নিবন্ধ লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পোস্টার থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবির গবেষণা-প্রকাশনা মেলা প্রতিবছর করার পরিকল্পনা

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবছর গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা আয়োজনের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনের গবেষণা-প্রকাশনা মেলার সমাপনী দিনে রোববার বিকালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করব, যাতে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘ক্যালেন্ডার ইভেন্টে’ পরিণত হয়। প্রতি বছরই কোনো না কোনো ইনস্টিটিউট বা অনুষদ এ কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করবে। “এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং বাৎসরিক কর্মসূচির আওতাভুক্ত করলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার একটি সংস্কৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষে এসে প্রথমবারের মত ‘গবেষণা-প্রকাশনা মেলা’ আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার শুরু এ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, গবেষণাকেন্দ্র ও বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠান ১০০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নে তাদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম শক্তিশালী কামান তৈরি হয় এ ভারতবর্ষে। চীন থেকে গান পাউডার এনে, ইউরোপ থেকে লোহা-লঙ্কর ও ইস্পাত এনে। সে সময় বলা হয়েছিল, এটা তৈরি করো, না হয় গর্দান যাবে। আমাদের এই মেলাটা কিন্তু সেটাই। এটার ফরমেট খালি আলাদা।
“আমরা এই মেলা আয়োজন করেছি এ কারণে যে, আপনারা গবেষণা ও প্রকাশনায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আধুনিক কালে তো বলতে পারব না যে, গর্দান যাবে। আমাদের সম্মান যাতে বাড়ে, আপনারা সেই পথে এগিয়ে যাবেন।” জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দেশ গড়ার ক্ষেত্রে এধরনের গবেষণা মেলা উৎসাহ যোগাবে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ নিবন্ধ লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পোস্টার থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।