নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে বিষয় বরাদ্দে এক শিক্ষার্থীর বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মোহাইমিনুলের পক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার এ নোটিশ পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্টার এবং কলা অনুষদের ডিনকে রেজিস্টার ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
নোটিশে বলা হয়, কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বিষয় পর্যায়ক্রমের ফরমে পছন্দের বিষয়টি সবচেয়ে নিচেরটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের দেওয়া হবে। কিন্তু পরে সাক্ষাৎকারের দিন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য এ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয়। যদিও তার বিষয় পছন্দক্রম ফরমে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়টিই ছিল না। অন্য বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আসন খালি থাকার পরও তাকে এ বিষয়ে ভর্তি হতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত উপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
যে কারণে ফাঁকা আসনে পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করে। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
নোটিশে পছন্দক্রমের সর্বনি¤œ বিষয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ করা ১১৯টি আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “ভর্তি বিষয়টা মূলত সংশ্লিষ্ট ডিন অফিস দেখে। এটি উপ উপাচার্য একাডেমিকের কাজ না। ডিন অফিস এ বিষয়ে বলতে পারবে।” কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি।“